পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গত ১০দিন ধরে উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছে ৪০জন শ্রমিক। কেমন আছে তারা? কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েনি তো? আরও কত সময় লাগবে সবাইকে উদ্ধার করতে? এইসব প্রশ্নগুলোই এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমগুলির উদ্দেশ্যে বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলির উদ্দেশ্যে ‘পরামর্শ’ দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিল্কইয়ারা সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের আটকে পড়ার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যেন অহেতুক চাঞ্চল্য ছড়ানো না হয়। টিআরপি বাড়ানোর জন্য যেন কোনও ছোট ঘটনাকে রংচড়িয়ে দেখানো না হয়। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সরকার পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছে। টানেলের আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বাড়াতে সব ধরনের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারী সংস্থা ৪০জন শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। টানেলের চারপাশের পরিস্থিতিও অত্যন্ত সংবেদনশীল। অনেক মানুষের জীবন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাই টিভি চ্যানেলগুলির করা খবর উদ্ধারকাজ ও ঘটনাস্থলের পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই টিভি চ্যানেলগুলির উচিত এই বিষয়ে রিপোর্ট করার সময় সতর্ক এবং সংবেদনশীল হওয়া। বিশেষ করে শিরোণাম, ভিডিয়ো ফুটেজ সম্প্রচার করার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ও যত্নবান হতে হবে তাদের। উদ্ধার অভিযান, আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা এবং সেইসাথে সাধারণ দর্শকদের উদ্বেগের কথা ভাবতে হবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে।
মঙ্গলবারই উদ্ধারকারীরা সুড়ঙ্গে একটি এন্ডোস্কোপি ক্যামেরা ঢোকাতে সক্ষম হয়েছিল এবং সেখানে শ্রমিকরা কেমন আছে তার ছবি প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে ৪১ জন কর্মী দেখিয়েছেন যে তাদের চলাফেরার জন্য টানেলের ভিতরে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। মঙ্গলবারের এই ফুটেজ উদ্বিগ্ন আত্মীয়দের নতুন আশা দিয়েছে। যাদের অনেকেই সুড়ঙ্গের সামনে ক্যাম্প করে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ নভেম্বর সিল্কিয়ারা থেকে বারকোট পর্যন্ত একটি টানেল নির্মাণের সময় এই ধসের ঘটনা ঘটে। সুড়ঙ্গে যেখানে শ্রমিকরা আটকে রয়েছে সেখানে অক্সিজেন ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। একাধিক সংস্থা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।