পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শয়ে শয়ে মানুষের প্রাণ সংহারের পরে গাজায় যুদ্ধ বিরতিতে যাচ্ছে ইসরাইল! টানা দেড়মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে প্রায় ১২ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। গাজাকে প্রায় ধ্বংস্তূপে পরিণত করেছে ইসরাইল। প্রাণ সংহারের গোটা বিশ্বের কাছে নিন্দিত হয়েছে ইসরাইল। রাষ্ট্রসংঘ বার বার দাবি জানিয়েছে যুদ্ধ বিরতি। কিন্তু মানুষের মৃত্যু ইহুদি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মন টলাতে পারেনি। উল্টে আরো আক্রোশ নিয়ে নেমেছে ইসরাইল। শত শত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর ইহুদি সেনার উল্লার চিত্র ভাইরাল হয়েছে গোটা বিশ্বের কাছে।
হামাসকে নিমূর্ল করতে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এদিকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ বন্ধে হাসপাতালে আইসিউতে থাকা রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। তাহলে ইসরাইলের যুদ্ধ বিরতি কি হামাস নির্মূলে সামরিক কৌশল?
বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার স্থল নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হলেও হামাসকে পরাজিত করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া, জিম্মিদেরও মুক্ত করতে পারেনি তারা। পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইহুদিবাদী দেশটি সম্মত হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার।
রবিবার হোয়াইট হাউসের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমতির শর্তে ১২ জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্ত করার চুক্তি হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী সবশেষ অভিযানের কেন্দ্রস্থল বানিয়েছে গাজার সবচেয়ে বড় আল শিফা হাসপাতালকে। আল শিফা ঘিরে রাখলেও ইসরায়েলি বাহিনী এখনও হাসপাতালটির অধীনে বড় টানেল নেটওয়ার্ক এবং কমান্ড সেন্টার থাকার প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে সর্বশেষ দেশটি দাবি করে, হাসপাতালের নিচে ৫৫ মিটারের সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি গত শুক্রবার বলেছেন, হামাস এখন দক্ষিণে রয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট গত সোমবার বলেন, ইসরায়েল সুড়ঙ্গের বিরুদ্ধে অভিযান ত্বরান্বিত করেছে। হামাস উত্তরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাজার দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছে।