সেখ কুতুবউদ্দিন: এসএসকেএম হাসপাতালে বসবে অত্যাধুনিক যন্ত্র। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যান্সার হাবের বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের ক্যান্সার হাবের যন্ত্রাংশ কেনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আনা হবে অত্যাধুনিক যন্ত্র, যা উত্তর পূর্ব ভারতের মধ্যে অন্যতম বলে জানালেন এসএসকেএম হাসপাতালের এক আধিকারিক। এদিকে এসএসকেএমএর এই বিভাগকে উন্নত মানের করে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ক্যানসার হাবে চিকিৎসার জন্য দুটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর এবং একটি ব্র্যাকিথেরাপি মেশিন কেনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই ক্যানসার হাব গড়ে তোলা হচ্ছে। টাটা মেডিক্যালের সঙ্গে যৌথ সহায়তায় ক্যানসার হাব গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতপাল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এসএসকেএম হাসপাতালকে ক্যানসার হাব হিসেবে গড়ে তোলার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।
২০২১ সালেই খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এসএসকেএমে ক্যানসার হাসপাতাল গড়ে উঠবে। এ ব্যাপারে টাটাদের সঙ্গে উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন তিনি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২টি নতুন পদ তৈরি করা হচ্ছে। পদগুলির মধ্যে রয়েছে অধ্যাপকদের জন্য দুটি, সহযোগী অধ্যাপকের জন্য দুটি, সহকারী অধ্যাপকের জন্য দুটি এবং সার্জিক্যাল অনকোলজি এবং রেডিওথেরাপির জন্য দুটি করে পদ রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বিভাগে সার্জিক্যাল অনকোলজিতে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হাসপাতালের এক আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করছি নতুন কাঠামোর প্রথম ধাপটি ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেই সময়ে, আমরা লিনিয়ার এক্সিলারেটর এবং ব্র্যাকিথেরাপি মেশিন পেয়ে যাবো।’
রাজ্য মন্ত্রিসভা প্রকল্পটির জন্য অনুমোদন দেওয়ার পর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বিপরীতে হাবের জন্য একটি ১০ তলা বিল্ডিং নির্মাণ শুরু হয়েছে। প্রথম দুটি তলা সম্ভবত এই বছরের মধ্যে শেষ হবে এবং সেখানে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, পুরো ভবনটি হয়ে গেলে আরও সুবিধা এবং পরিকাঠামো যুক্ত করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের জুন মাসে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের (মুম্বই) সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে প্রকল্পটি ঘোষণা করেছিলেন। এরজন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এরাজ্য থেকে প্রতি বছরই বেশ কিছু রোগীকে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য মুম্বইতে যেতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে বদল আনতেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে রাজ্যবাসী আরও সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও রোগী পরিজনরা।