পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে এক বেআইনী নির্মাণ সংক্রান্ত মামলা।এদিন বিধাননগরে বেআইনিভাবে নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার দুপুর ১টার মধ্যেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
এর পাশাপাশি বেআইনিভাবে নির্মীত ভবনের জল ও বিদ্যুতের লাইন কাটারও নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ। বিল্ডিং ভাঙার প্রাথমিক রিপোর্ট আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালেই আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস।বিচারপতি আরও পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছেন,-‘ ওই ভবনের বাসিন্দারা প্রয়োজনে আদালতে এসে বিল্ডারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুনর্বাসন চাইতে পারেন’।
আদালত সুত্রে প্রকাশ সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ১৮১ শান্তি নগর এলাকায় একটি ভবনে বেআইনিভাবে নির্মীত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ‘আনঅথারাইজ়ড কনস্ট্রাকশনে’র অভিযোগ পাঁচিবালা পোলে বিধাননগর পুরনিগমকে জানায়। কিন্তু পৌরনিগমও এই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলে অভিযোগ ওঠে। কর্পোরেশন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতের দারস্ত হন মামলাকারী।এই মামলার শুনানিতে আগে বিচারপতি অবৈধভাবে নির্মীত ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়নি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়।
বিল্ডারকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও আদালতে উপস্থিত হননি।এদিনের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর কর্পোরেশন এর আইনজীবী। তিনি সওয়াল করেন,-‘ বিল্ডারকে কর্পোরেশনে শুনানির জন্য ডাকা হলেও তিনি উপস্থিত হননি’। বিচারপতি তাতে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন। তারপরই সোমবার দুপুরের মধ্যেই ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন বিচারপতি।সল্টলেকে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
সেই সময় জানা যায়, বিগত কয়েক বছরে বিধাননগর পুর এলাকায় ৩৫৫টি বেআইনি বহুতল তৈরি হয়েছে। এই আবহে আদালতের ভর্ত্সনার মুখে পড়ে পুরসভা। এদিকে, সেই ভবন খালি করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন প্রোমোটাররাও। কারণ যাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছেন, তাঁরাও প্রোমোটারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামতে পারেন।আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।