পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ সরকার বিরোধী খবর প্রকাশের জেরে গ্রেফতার করা হয় নিউজক্লিক পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ ও সেখানকার আরও এক কর্মী অমিত চক্রবর্তীকে। তাও আবার যে সে ধারায় নয়, মোদি সরকারের সবচেয়ে প্রিয় আইন- ইউএপিএ ধারায় ওই দু’জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। দিল্লি পুলিশেও সন্তুষ্ট না থাকতে পেরে পরে সিবিআই-র হাতে মামলার ভার দেয় কেন্দ্র। পুলিশি পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল নিউজক্লিকের পক্ষ থেকে। কিন্তু শুক্রবার ওই মামলা শুনলই না আদালত। মামলাটি সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি তুষার রাও গেদেল। তিনি বলেন, ‘আদালত ওই মামলার কোনও সারবত্তা খুঁজে পায়নি।
ওই দুই সাংবাদিককে ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বাড়িতে পর্যন্ত হানা দেওয়া হয়। অন্যান্য সাংবাদিকদেরও প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকদের মতে, খুবই বালখিল্য প্রশ্ন করা হয়েছিল তাদেরকে।
চিন থেকে অর্থ নিয়ে ভারতবিরোধী খবর করেন তারা এমন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রবীর পুরকায়স্থ ও অমিত চক্রবর্তীকে। চিনের মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা শাওমি ও ভিভোর কাছ থেকে কেন বিজ্ঞাপন নিয়েছে নিউজক্লিক সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
এই ঘটনার পর ভারতের সংবাদমধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাছাড়া নিউজক্লিকই প্রথম নয়, কেন্দ্রের শাসক দল একই ধরণের কাজ আগেও করেছে বিবিসি,,কলকাতা টিভির বিরুদ্ধেও।
হাথরাসে দলিত নাবালিকার ধর্ষণ ও রাতারাতি তাকে দাহ করার ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে যাওয়ায় ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয় সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পানকে। কোপ থেকে বাদ পড়েননি মুহাম্মদ জুবায়েরও।