পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আরব বিশ্বের দেশ তিউনিসিয়ায় এবার ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানী তিউনিসের পথে সমবেত হন ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। তিউনিসের ‘দে লা লিবার্তে’ অ্যভিনিউ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন হলেন ১৮ বছরের ছাত্র আয়ুব আলোজ। তিনি বলেন, ‘এটা একটা সংকটময় সময় এবং আমরা জানাতে চাই যে আমরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে ও যায়নবাদীদের বিরুদ্ধে আছি।’
আলোজ আরও বলেন, ‘ইহুদিদের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই, যায়নবাদীদের সঙ্গে আছে।’ ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিউনিসিয়ার বিরোধী দলের নেতারাও এই বিক্ষোভে যোগ দেন। এই বিরাট মিছিল থেকেই বোঝা যায় যে আরব বিশ্বের অনেক দেশে এখন ফিলিস্তিনের প্রতি জনসমর্থন বাড়ছে। তিউনিসিয়ার একনায়ক প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ তাঁর বিরোধীদের জনসমক্ষে প্রতিবাদ ও সমাজসেবা মূলক কাজ নিষিদ্ধ করলেও আয়াচি হামামির মতো নেতা ফিলিস্তিনের জন্য পথে নেমে আসতে সংকোচ বোধ করছেন না। হামামি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সমর্থনে প্রতিবাদ করা থেকে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না।’
তিউনিসে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ২৮ বছরের ইউসুফ খাইরেফ বলেন, ‘ইসরাইল অনেক ভয়াবহ অপরাধ করেছে। শিশুদের হত্যা করা থেকে শুরু করে অনেক গণহত্যা চালিয়েছে। এই একবারই ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করছে ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর এবার সবাই ইসরাইলের পক্ষ নিচ্ছে।’
আরও অনেক আরব দেশের পাশাপাশি একসময় তিউনিসিয়াও ইসরাইলি হামলার শিকার হয়েছিল। ২০১৬ সালে মোসাদের এক বন্দুকবাজ তিউনিসিয়ার স্ফাক্স শহরে মুহম্মদ জুয়ারি নামে এক অধ্যাপককে হত্যা করে। জুয়ারি হামাসের সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি কিছু ড্রোন ডিজাইন করেছিলেন যেগুলি সম্প্রতি ইসরাইলে হামলা চালাতে ব্যবহার করছে হামাস। ১৯৮৫ সালেও তিউনিসিয়ায় হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। সেবার রাজধানী তিউনিসে অবস্থিত ফিলিস্তিন লিবারাইজেশন অর্গানাইজেশনের সদর দফতের বোমা মেরেছিল ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। সেই হামলার নিন্দা জানিয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ।