পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযান শুরু করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’। বড় ধরনের এই হামলার পর ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছে ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনী। সৌদি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর মূল অবস্থা বিবেচনা করে পালটা অভিযানের পরিকল্পনা করছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, হামাসকে এ ঘটনার দায় এবং পরিণতি বহন করতে হবে। শুধু রকেট হামলাই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরেও প্রবেশ করেছে হামাসের যোদ্ধারা। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরাইলের ভূখণ্ডে পাঁচ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।’
এই রকেট হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ হিসেবে ঘোষণা করে হামাস নেতা আরও বলেন, শত্রুপক্ষকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। দখলদাররা আমাদের শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। চলতি বছর তাদের হামলায় শত শত মানুষ শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন। আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান বলেন, আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের সদস্যরা ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর অবস্থান, বিমানবন্দর, বিভিন্ন ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ইসরাইলে হামলা চালানো রকেটের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নিক্ষেপ করা রকেট দেশটির রাজধানী তেল আবিব পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে আজ শনিবার ভোর থেকে আকস্মিক অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। হামলার পর এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেছেন, হামাসের যোদ্ধারা প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যে একে ইসরায়েলের জন্য অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।