ইন্তেখাব আলম: শহরজুড়েই শুরু হয়েছে শারদ উৎসবের প্রস্তুতি। আসন্ন শারদ উতসবের দিনগুলিকে শহরবাসীর কাছে আরও আনন্দমুখর করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য পরিবহন সংস্থা। একদিকে দেড়শো বছরের ঐতিহ্যবাহী কলকাতার ট্রাম আর অন্যদিকে ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃত কলকাতার দুর্গাপুজোকে এক সুতোয় বাঁধতে বিশের ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য পরিবহন নিগম-এর পক্ষ থেকে।সচরাচর পুজোর দিন গুলিতে রাস্তার ভিড় এড়াতে শহরে ট্রাম পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।
কিন্তু, দূষণহীন নিরাপদ এবং স্মৃতিবিজড়িত ট্রামে চেপে পুজো পরিক্রমা করার ইচ্ছে থাকে বহু মানুষের। এবার শারদ উৎসবের দিনগুলিতে ট্রাম প্রেমী মানুষের সখ পূরণ করতেই বিশেষ ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য পরিবহন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজনবীর সিং বলেন, একদিকে ককলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রামের দেড়শো বছর পূর্তি এবং ইউনেস্কো হিরেটেজ তকমা পাওয়া কলকাতার দুর্গাপুজোকে সামনে রেখেই এই বিশেষ ট্রাম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলার শিল্প সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে বজায় রেখেই ওই বিশেষ ট্রামটিকে সাজানো হয়েছে। ট্রামটির ভেতর এবং বাহির জুড়েই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজ্য পরিবহন নিগমের এই উদ্যোগে সহযোগি হিসেবে অংশ নিয়েছে বেসরকারি একটি রঙ প্রস্তুতকারী সংস্থা।
কলকাতা তথা বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ট্রামের ভেতর এবং বাহিরে।পুজো পরিক্রমা, বড়দিন এবং আগামী ইংরেজি নতুন বছরের কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে ট্রমটিকে।
ট্রামের বগ্রি বাইরে কুমোরটুলির ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প, ঢাক বাদক নারী ছাড়াও সিদুরখেলা আর ধুনচি নাচের চিত্রশিল্প অঙ্কন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রামের কামরার ভেতরেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলার চিরায়ত পুজো মণ্ডপ আর আলপনার কারুকাজ।
অন্যদিকে রজ্য পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান মদন মিত্র জানান, বাংলার পুজোর হেরিটেজ আমেজ এবং কলকাতার ট্রামের নস্টালজিয়াকে তুলে ধরা হয়েছে এই বিশেষ ট্রামে।
চলতি অক্টোবর মাস থেকে আগামী ইংরেজি নতুন বছর পর্যন্ত এই বিশেষ ট্রামটি টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ রুট হয়ে চলাচল করবে।বিশেষ এই ট্রামে চেপেই শহরের বিশেষ বিশেষ পুজো মণ্ডপ পরিক্রমা করা যাবে বলেও জানা গিয়েছে।