আবদুল ওদুদ, দিল্লি: ১০০ দিনের কাজে বকেয়া প্রাপ্তি সহ একাধিক বঞ্চনার দাবিতে একাধিক কর্মসূচি নিয়ে দিল্লিতে তৃণমূল। রাজধানীতে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ দিনভর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে।
দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে কর্মী-সমর্থকরা। দলের তরফে সকলকেই রাখা হয়েছে আম্বেদকর ভবনে। একাধিক বাসে করে জনকার্ড হোল্ডারদের দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজঘাটে ‘সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন।
এরপর বিকেলে ছাত্র-যুবদের নেতৃত্বে নতুন সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হবেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থক ও শ্রমিক-কৃষকরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে তাঁদের সেখানে নিয়ে যাবেন টিএমসিপি, যুব তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। সেন্ট্রাল ভিস্তা ঘুরিয়ে বাংলার বঞ্চিতদের বোঝানো হবে যে কাজ করানোর পরও দরিদ্র মানুষদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে সেই টাকায় এত বড় নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে।
২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে রাজঘাট এবং যন্তর-মন্তরে জমায়েতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার ১০০ দিনের শ্রমিক নিয়ে দিল্লিতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে বাংলার শাসকদল। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঘিরে রাখা হয়েছে গোটা চত্বর। রয়েছে দিল্লি পুলিশ থেকে র্যাফ।
ধরনা কর্মসূচির আগেই ট্যুইট করে আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোনও হিংসা নয়। গান্ধির অহিংস পথেই চলতে চান তাঁরা।’ প্রতিটি তৃণমূল সমর্থককে বার্তা মানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আজ রাজঘাটে গান্ধিমূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল।