পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: তহবিল কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের কক্সবাজারের শিবিরে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখন ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের এক মুখপাত্র। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রধান মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ বলেছেন, ‘৭ বছর আগে মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর বারংবার জলবায়ু দুর্যোগের মুখে পড়েছে। এখন তারা ক্ষুধার সম্মুখীন হচ্ছে, যা তাদের সংকটকে আরও তীব্র করছে।’ ডুজারিচ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দাতারা তহবিল কমানোর কারণে কক্সবাজারের পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য জীবন রক্ষাকারী সহায়তা কমাতে বাধ্য হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সংস্থা। তহবিল ঘাটতির কারণে রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ রেশন গত মার্চ মাসে ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে মাসে ১০ ডলার করা হয়েছে। পরে গত জুনে তা আরও কমিয়ে ৮ ডলার করা হয়।’ ডব্লিউএফপি বলেছে, বর্তমান নগদ ভাতা দিয়ে রোহিঙ্গাদের প্রতি বেলার খাবারের জন্য ৯ সেন্টেরও কম দেওয়া হয়। ডব্লিউএফপির মুখপাত্র বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ রেশন কার্যক্রম পুনরুদ্ধার এবং গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কার্যক্রম অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তার জন্য দাতাদের অবিলম্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ রেশন দিতে ডব্লিউএফপির আরও ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার প্রয়োজন। উল্লেখ্য, কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির, যেখানে প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।