পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : পঞ্জাবে চলা কৃষকদের রেল রোকো অভিযান ঘিরে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। বেশ কিছু ট্রেনের রুটও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে রেল রোকো কর্মসূচি শুরু করেছেন পঞ্জাবের কৃষকদের একাংশ। বন্ধ রয়েছে ফিরোজপুর ও অম্বালা ডিভিশনের লাইন। বিক্ষোভকারিরা চণ্ডীগড়-আম্বালা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে গোটা দেশজুড়ে।
রেলওয়ে সূত্রে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু ট্রেন বাতিল সহ, ট্রেনের গতিপথ ঘোরানো হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
অমৃতসরে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে ১৯টি কৃষক সংগঠন। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অমৃতসর-দিল্লি রেল লাইন। অন্তত ৯১টি ট্রেনের পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। কলকাতা ও হাওড়ায় ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছে। শুক্রবার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
কৃষকদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে পঞ্জাবের ১৭টি জায়গাজুড়ে। এই জায়গাগুলির মধ্যে রয়েছে মোগা, হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর, জলন্ধর, তরণ তারন, সাঙ্গরুর, পাতিয়ালা, ফিরোজপুর, ভাতিন্ডা, অমৃতসর। পঞ্জাবের বেশ কিছু অংশে প্রচুর সংখ্যক কৃষক রেলপথে বসে বিক্ষোভ দেখায়। বন্যায় ক্ষতির জন্য আর্থিক প্যাকেজ, এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি, ঋণ মকুবের দাবি তুলে চণ্ডীগড়-আম্বালা জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে একাংশ।
তিনদিনের ‘রেল রোকো’ কর্মসূচিতে প্রতিবাদী কৃষকরা দেবীদাস পুরায় অমৃতসর-দিল্লি রেলওয়ে লাইন, হোসিয়ারপুরে আজাদ কিষান কমিটি বিক্ষোভ দেখায়। পাশাপাশি দোয়াবায় স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভ চলে। জাতীয় সড়কের ধারে ট্রাক্টরগুলিকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
পঞ্জাব পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের উভয় দিক বন্ধ, যানবাহনকে বিকল্প পথে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজাদ হিন্দ কমিটির রাজ্য সভাপতি (দোয়াবা) হরপাল সিং সংঘ জানিয়েছেন, তাদের, প্রতিবাদ বিক্ষোভ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে কৃষকদের এই রেল রোকো কর্মসূচিকে ঘিরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ট্রেনযাত্রীরা।