পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: জ্ঞানভাপী কমপ্লেক্সে চলমান এএসআই সমীক্ষা বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছিল ‘আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া’ মসজিদ কমিটি । শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বারাণসী জেলা আদালত বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস। তবে ওজুখানায় পাওয়া ফোয়ারা’কে ‘শিবলিঙ্গ’ বলে দাবি করা সংশ্লিষ্ট এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা হবে না বলে বারাণসী জেলা আদালত গত ২১ জুলাই যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা বহাল রাখেন বিচারক অজয়কুমার।
মুসলিম পক্ষ আদালতে আর্জিতে জানিয়েছিল এএসআই ফি জমা না দিয়েই সার্ভে করছে। তাই এই সার্ভে বন্ধ করতে হবে। এ কথা শুনে বিচারক এ কে বিশ্বেশ বলেন, এএসআইকে সার্ভের খরচ দিতে বাধ্য করা ঠিক নয়। এটি কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। বিচাকর অজয় জানিয়েছেন, ইলাহাবাদ হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এএসআই-কে খননে প্রাপ্ত নমুনাগুলির কার্বন ডেটিং-সহ অন্য পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাই এই মামলায় তিনি কোনো রায় অর্ডার দিতে পারবেন না।
আঞ্জুমান কমিটি আদালতে জানায় নির্ধারিত নিয়মের বিরুদ্ধে সার্ভে চালানো হচ্ছে। সে কারণে এই সেভ বন্ধ করা হোক। এ কথা শুনে জেলা জজ বলেন, মামলায় বাদীর ওপর নতুন করে কোনো শর্ত আরোপ করা যাবে না। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ একটি ব্যক্তিগত সংস্থা নয়। বিচারক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে হিন্দুপক্ষের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ৫ অক্টোবর।
গত ২১ জুলাই বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস জ্ঞানভাপী চত্বরে ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন এএসআই-কে। প্রাথমিক ভাবে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট মসজিদ কমিটির আবেদন মেনে এএসআই সমীক্ষার উপর স্থগিতাদেশ দিলেও গত ৩ আগস্ট প্রধান বিচারপতি প্রীতিনকর দিবাকরের বেঞ্চ তা প্রত্যাহার করে নেয়। ৪ অগস্ট থেকে শুরু হয় সমীক্ষা। এর পর স্থগিতাদেশ চেয়ে মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বারাণসী জেলা আদালতের তত্ত্বাবধানে সমীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।