পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে কাবেরী জল বিরোধে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের রায়, কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির কর্তৃপক্ষকে প্রতি ১৫ দিন পরপর বৈঠক করতে হবে। এখন কর্নাটক সরকারকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির নির্দেশনা বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের রায় জারি করার সঙ্গে সঙ্গে মান্ডা জেলার কৃষকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। কৃষকদের প্রতিবাদী স্লোগান ছিল ‘জল দাও না হলে, বিষ দাও’।
কাবেরী হিতরক্ষা সমিতি মান্ডায় স্যার এম এম বিশ্বেশ্বরায়ের মূর্তির সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের ডাক দেয়। আদালতের রায়ের নিন্দা জানিয়ে কৃষক সংগঠন, একটি মোটরবাইক সমাবেশ সহ মাইসুরু-বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়কও অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। কৃষকনেত্রী সুনন্দা জয়রাম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জেলার কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে এসেছে। রায় ঘোষণার আগে সুপ্রিম কোর্টের উচিত ছিল বাস্তবতা খতিয়ে দেখা। কর্নাটকের প্রতি অবিচার করা হল। কাবেরীর জল আমাদের অধিকার। জোরালো আন্দোলনের ডাক দেন কৃষক নেত্রী।
সুনন্দা জয়রাম জানান, খাওয়ার জন্য জল নেই, তামিলনাড়ুতে জল ছেড়ে দেওয়া কীভাবে সম্ভব? মান্ডার কৃষকরা সমস্যার মধ্যে আছে, আমাদের সঙ্গে ইচ্ছা করে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। সরকার নির্দেশ মেনে চললে মান্ডা, মাইসুরু এবং বেঙ্গালুরুতে আর পানীয় জল থাকবে না।
সম্প্রতি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার কাবেরী নদীর জল বণ্টন ইস্যুতে দিল্লিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এতে কাবেরী জল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারকে তামিলনাড়ুতে ৫০০০ কিউসেক জল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। গত সপ্তাহের শুরুতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাজ্য তার প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ুতে জল ছাড়ার অবস্থানে নেই। এরপর এদিন সুপ্রিম কোর্ট কাবেরীর জল নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল। বিষয়টি কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির উপর ছেড়ে দিল।