উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে স্ত্রীর আধার কার্ড জাল ও চিটিংবাজী করার অভিযোগে জয়নগর থানার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে ধৃত এক যুবককে বুধবার জয়নগর থানা থেকে পাঠানো হলো বারুইপুর মহকুমা আদালতে।
পুলিশ ও জয়নগর ১ নং ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেল, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের দক্ষিণ বারাসাতের রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা গৌতম মন্ডলের স্ত্রীর বয়স ২০ বছর, কিন্তু ২৫ বছর না হলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা মেলে না, আর সেই কারণে স্ত্রীর আধার কার্ড জাল করে সে বলে অভিযোগ।
নিজের সাইবার ক্যাফে তে নকল আধার কার্ড তৈরি করে স্ত্রীর জন্মসাল ২০০৩ এর পরিবর্তে ১৯৯৬ সাল করেছে সে। আর সেই জাল আধার কার্ডের প্রতিলিপি নিয়ে সম্প্রতি জয়নগর ১ নম্বর ব্লক দপ্তরের দুয়ারে সরকারের শিবিরে এসে লক্ষ্মীর ভান্ডার এর প্রকল্পে স্ত্রীর নাম নথিভুক্ত করার আবেদন করে গৌতম।
আধার কার্ডের প্রতিলিপি দেখে সন্দেহ হয় ব্লকের এই বিভাগের আধিকারিকদের। তাকে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকে দেখা করতে বলা হয়। আর গৌতম জাল আধার কার্ড নিয়েই দেখা করে। আর এই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সন্দেহ হয় কোথাও একটা গোলমাল আছে। ওই তরুণী এর আগে জাতিগত শংসাপত্রের আবেদন করেছিলেন।
সেই আবেদন খতিয়ে দেখে জন্ম সালে গোলমাল ধরা পড়ে যায়। গৌতম কে চেপে ধরতেই অপরাধ স্বীকার করে নেয় সে। আর মঙ্গলবার জয়নগর ১ নম্বর বিডিও সত্যজিত বিশ্বাসের তরফে জয়নগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই যুবককে। জয়নগর ১ নং বিডিও সত্যজিত বিশ্বাস বলেন, নকলের সঙ্গে আসলের কিছুটা তফাত ছিল।
আর সেটা দেখেই সন্দেহ হয় আমাদের তারপরেই ওকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বীকার করে নেয় সে এবং তার পরেই আমাদের পক্ষ থেকে জয়নগর থানায় অভিযোগ জানানো হয় মঙ্গলবার এবং ওই দিনই যুবকটিকে তুলে দেওয়া হয় থানায়।
বুধবার জয়নগর থানা থেকে ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। এদিন জয়নগর থানায় দাঁড়িয়ে ধৃত যুবক গৌতম মন্ডল তার দোষ স্বীকার করে বলে সাংসারিক অনটনে তিনি এই কাজটি করতে বাধ্য হয়েছেন।