পারিজাত মোল্লা: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ধমকের পর টনক নড়ল শিলিগুড়ি পুলিশের। মাত্র ১দিনের মধ্যে মিলল পুলিশি ভেরিফিকেশন। অবশেষে স্কুল শিক্ষিকার নিয়োগপত্র হাতে পেলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায় । গত সোমবার এবিষয়ে হাইকোর্টের ভর্ত্সনার ২ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েবসাইটে অনামিকার নাম তুলেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
বুধবার ডিরোজিও ভবন থেকে নিয়োগপত্র হাতে পেলেন অনামিকা।নিয়োগে কারচুপির অভিযোগে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে সেই চাকরি ববিতা সরকারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তা নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। দেখা যায়, ববিতার চেয়ে নম্বর বেশি রয়েছে অনামিকা বিশ্বাস রায়ের। এরপরই গত মে মাসে ববিতা সরকারকে দেওয়া শিক্ষকতার চাকরি ফিরিয়ে নিয়ে সেই চাকরি অনামিকা বিশ্বাস রায়কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।তবে বিচারপতির সেই নির্দেশের পর চার মাস অতিক্রান্ত হলেও অনামিকা চাকরি পাননি।
কী কারণে অনামিকাকে এখনও চাকরি দেওয়া হয়নি, গত সোমবার সেই কৈফিয়তও চেয়েছিলেন বিচারপতি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন , -‘অনামিকার পরিচয় সংক্রান্ত পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে আটকে রয়েছে ওই চাকরি’। পুলিশি ভেরিফিকেশনের জন্য চার মাস পরেও চাকরি আটকে রয়েছে বলে ওই মামলাতেই পুলিশকে তীব্র ভর্ত্সনা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।
ক্ষুব্ধ বিচারপতি সেসময় বলেন , ‘কেন চাকরি আটকে থাকবে? উনি কি সন্ত্রাসবাদী?” জানতে চান, ”কেন ভেরিফিকেশন হয়নি? কোন থানা ছিল দায়িত্বে?” শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। দ্রুত ভেরিফিকেশনের পর অবশেষে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে খুশী অনামিকা বিচারপতি এবং আইন ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি