রমিত বন্দোপাধ্যায়: ১৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২৯২ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে অজানা নাগরিক আয়োজন করল এক অভিনব আড্ডার। নাটক, গান, ছবি সঙ্গে যুক্ত থাকা আরও অনেক গুণীজনদের উপস্থিতিতে এই আড্ডা সম্পূর্ণ হয়। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী সঞ্চয়িতা ভট্টাচার্য, সাংকৃতিক কর্মী রাজা বিশ্বাস এবং চিত্রকর উর্মিমালা চ্যাটার্জি সহ আরও অনেকে। তিন গুণী শিল্পীর সঙ্গে কাজের সূত্রে এক আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আলোকচিত্রী সন্দীপ সাহার কাছের। সম্পর্কের নৈকট্য স্থিরচিত্রকে গল্পের ধারায় জুড়তে চেয়েছেন সন্দীপ। শুরু হয় ফটো কনভারসেশান। জীবন ও স্মৃতির চিহ্ন হয়ে ফটো কলভারসেশন ‘দা লাস্ট রিহার্সাল’ আর মানস দে-র দোতরার সঙ্গে গান বেঁচে থাকাকে স্পর্শ করতে চায়।
চিরাচরিত ফোটোগ্রাফি প্রদর্শনীর ধারাকে বদল ঘটিয়ে উত্তর কলকাতার পুরনো বাড়ি পূরাণ ঘরে ছবি হয়ে থেকে যাওয়া সম্পর্কের স্মৃতিকে কিউরেট করেন পি. মুখার্জি। যেন ফটোগ্রাফি হয়ে স্মৃতি ওই ঘরের প্রতিটি দেওয়াল, দরজা ও সুইচ বোর্ড ছুঁয়ে থাকে। বাক্স ভর্তি হয়ে আড়ালে চলে যাওয়া স্মৃতির চিহ্ন ঘরের এক কোণে রাখা টেবিল ল্যাম্পের নিচে ছোট চারকোনা বাক্সটি খুলে দেয় এই শহরের ছড়িয়ে থাকা তিন স্মৃতিকে। এই সমস্ত ছবির মূল চরিত্রগুলি ঘড়ির বিপরীতে হলেও তাদের জীবন দীপ যেন বেঁচে থাকছে তাদের কাজের মাধ্যমে যা সন্দীপ খুব সযত্নে সংরক্ষণ করেছেন।
সন্দীপ জানান,” আমরা যান্ত্রিক সভ্যতার মধ্যে নিজেদেরকে হারিয়ে ফেলছি মানবিক সম্পর্ক, অনুভূতি আমাদের প্রতিনিয়ত কমেই চলেছে। এই প্রয়াসের বিপরীত এক প্রচেষ্টা। গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে দিয়ে এই সময়ের সংকটের কথাই বলার চেষ্টা করছ।”
আড্ডার শেষ হয় বিপ্লব নায়ক এবং রাম প্রাসাদ গায়েন- এর নির্দেশিত ভূমিজ পুনর্জীবন নামক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনে।