পুবের কলম প্রতিবেদক: ৪৮ ঘণ্টা জ্বর থাকলে অপেক্ষা না করে ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। রাজ্যে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। আজ বছর বাদে বিদেশ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিদেশ সফরে বসেই রাজ্যের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন তিনি। এই অবস্থায় ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত জেলাগুলিকে নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে রবিবার নবান্নে সমস্ত জেলাগুলিকে নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় এই সতর্কবার্তাই শোনালেন তিনি। এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কার কারণ নেই। তবে জ্বর আসলে অহেতুক যেন অবহেলা না করা হয়। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দেরি করে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার জন্য রোগীদের অবস্থা সংকটজনক হয়ে যাচ্ছে, আর সে কারণেই স্বরাষ্ট্র সচিবের পরামর্শ ৪৮ ঘন্টা জ্বর থাকলেই ফেলে না রেখে ডেঙ্গু পরীক্ষা করান। একইসঙ্গে এদিন তিনি সামগ্রিকভাবে সচেতনতার উপর জোর দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে মশাবাহিত রোগে যে সাবধানতা অবলম্বন দরকার তা বজায় রাখার কথা বলেছেন। চারিপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জল জমতে না দেওয়া রাতে মশারি টানিয়ে শোয়া সহ একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এদিন স্বরাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন জ্বর হলে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ব্যবহার করুন। কোনো ব্যথার ওষুধ না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিন স্বরাষ্টচিব জানিয়েছেন এবার রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পনেরশো জন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাজ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে কতজনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে হয়েছে তা এখনই স্পষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছে না।
এদিন যে কয়েকটি শহরের পাশাপাশি কয়েকটি জেলায় গ্রামীণ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি হয়েছে তাও জানিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র সচিবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি জেলার বিভিন্ন অংশকে এক্ষেত্রে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে । একইসঙ্গে তিনি এই জেলাগুলিকে সতর্ক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে এদিন স্বরাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন, শুধু ব্যক্তিগত সমস্যা নয় অ্যাক্সিডেন্ট সহ যেকোনো অসুবিধায় পড়লে সাধারণ মানুষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া ফোন নাম্বারের সাহায্য চাইতে পারে। এক্ষেত্রে ডেঙ্গু চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এই ফোন নাম্বার।