পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বসতে চলেছে ২ দিনের জি-২০ সম্মেলন। সাজো সাজো রব রাজধানীজুড়ে। শুক্রবার থেকেই আসতে শুরু করবেন বিশ্বনেতারা। তাঁদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নয়াদিল্লিকে নিয়ম-শৃঙ্খলার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কোথায় যেতে পারবেন আর কোথায় নয়, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহান্তে কোথাও বেড়াতে যাবেন, তাহলে ভালো করে নির্দেশিকা দেখে নিন। সম্মেলন চলাকালীন দু’দিন কার্যত খাঁচায় বন্দি হয়ে থাকবেন দিল্লিবাসী। এমনকি বিমান, রেল চলাচলেও ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে।
রাজধানী ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকেই ট্রাফিক সংক্রান্ত নিয়ম চালু হবে। চলবে ১০ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত। এই বিধিনিষেধের কারণে যানবাহনের সামগ্রিক চলাচল কঠিন হয়ে পড়বে। সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত প্রগতি ময়দানে সভাস্থল ভারত মন্ডপম ছাড়াও বিশ্ব নেতারা দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভবনগুলি পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা এবং মসৃণ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য, নয়াদিল্লি এলাকায় বসবাসকারী লোকদের জন্য বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের মতে, নয়াদিল্লি এলাকায় বাসিন্দাদের শহরে ঢোকা এবং বেরনোর অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু বাইরে থেকে যারা শহরে ঢুকবেন তাঁদের জন্য একটি বিশেষ পাসের প্রয়োজন হবে। শনিবার সকাল ৫টা থেকে রবিবার রাত ১১.৫৯টা পর্যন্ত কোনও তিন-সিটের রিকশা (টিএসআর) এবং ট্যাক্সিকে নয়াদিল্লিতে ঢোকা বা চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
জি-২০ সম্মেলন চলাকালীন দু’শোর বেশি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর ৯০টির বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর একশোর বেশি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ ট্রেনই চলে দিল্লি থেকে দক্ষিণ হরিয়ানার সোনিপত-পানিপথ, রোহতক, রিওয়ারি ও পালওয়াল রুটে। ১১ সেপ্টেম্বর বাতিল থাকবে দিল্লি-রিওয়ারি এক্সপ্রেস স্পেশাল ও রিওয়ারি-দিল্লি এক্সপ্রেস স্পেশাল ট্রেন।
যাইহোক, নয়াদিল্লির ভিতরে অবস্থিত হোটেলগুলিতে বৈধ বুকিং-সহ প্রকৃত বাসিন্দা এবং পর্যটকদের বহনকারী ট্যাক্সিগুলিকে জেলার মধ্যে প্রবেশ এবং চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
দিল্লি পুলিশের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে এলাকার মধ্যে ভ্রমণকারী বাসিন্দা এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানকারীরা পরিচয়পত্র-সহ প্রামাণ্য নথি সঙ্গে রাখুন।
এছাড়াও ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নয়াদিল্লিতে সমস্ত অফিস, থিয়েটার, রেস্তোঁরা এবং শপিং মল বন্ধ থাকবে। তবে নয়াদিল্লি-সহ সমগ্র দিল্লিতে সমস্ত ওষুধ দোকান, মুদির দোকান, দুধের বুথ, সবজি/ফলের দোকান এবং এটিএম খোলা থাকবে।
দিল্লি পুলিশ ধৌলা কুয়া, খান মার্কেট, জনপথ এবং ভিকাজি কামা প্লেসকে ‘সংবেদনশীল এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কনটেনমেন্ট জোনে গাড়ি, সাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের সপ্তাহান্তে মর্নিং ওয়াকের জন্য বাইরে না বেরোতে অনুরোধ করা হবে। ক্লাউড কিচেন এবং অন্যান্য অনলাইন ডেলিভারি পরিষেবা সপ্তাহান্তে নয়াদিল্লি এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।