পারিজাত মোল্লা: কলকাতা হাইকোর্টের সেরা রায় কোনগুলি? আপনি কি জানতে চান? তাহলে অবশ্যই পড়তে হবে সদ্য প্রকাশিত হাইকোর্টের বিশেষ কমিটির তত্বাবধানে প্রকাশ পাওয়া বইটি। চলতি সপ্তাহে শেষের দিকে এই বই প্রকাশ পেল।নিয়োগ দুর্নীতি,নারী পাচার,পুলিশি গাফিলতি প্রভৃতি বিষয়ে জনসচেতনতার উদ্দেশ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে বিচারপতিদের বছরের সেরা রায় নিয়ে বিশেষ বই ।কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি সেখানে ঠাঁই পেয়েছে নিম্ন আদালতের বিচারকদের দেওয়া সেরা রায়গুলিও।
আদালত সূত্রে প্রকাশ , -‘ এর আগে বিচারপতিদের অল্প কিছু রায় নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হত’। এজন্য রয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ কমিটিও।সেই কমিটির উদ্যোগেই এবার বিচারপতিদের সেরা রায় নিয়ে বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ বার্ষিক রিপোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বে ওই কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশিত ওই বইতে গত এক বছরে রাজ্যে ঘটে চলা গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির রায় তুলে ধরা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের রায় সম্বলিত এই বই এক্ষেত্রে সমাজের অনেক উপকারে আসতে পারে। হাইকোর্টের বর্ষীয়ান এক আইনজীবীর কথায়, ‘প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আদালতের ভেতরে কী হয়, এই বইয়ের মাধ্যমে সহজেই তা সাধারণ মানুষ জানতে পারবেন।’
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ।
আয়কর বিভাগের একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ রায় কিংবা বাংলাদেশের যে নারীকে এদেশে পাচার করেছিল পাচারকারীরা, তাঁকে নিজের দেশে ফেরার রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।গত এক বছরে এভাবেই বিচারপতিদের বিভিন্ন সেরা রায়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে সমাজের বিভিন্ন দিক। জনস্বার্থে সেসবকেই একত্রিত করে এবারে বইয়ের আকার দিয়েছে হাইকোর্টের বিশেষ কমিটি। চাইলে আপনিও সংগ্রহ করতে পারেন বিচারপতিদের সেরা রায় সম্বলিত ওই বিশেষ পুস্তিকা।কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল জানান -” এই আইনী বই সার্বিক জনসচেতনতা বাড়াতে আগামীদিনে খুব কার্যকরী রুপ নেবে বলে আশাবাদী আমরা”।