পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চার বছর পার হয়েছে ৩৭০ রদের পর। কেন্দ্রের মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে বারবার ‘শান্ত ও স্বাভাবিক’ বলে দাবি তুলেছে। জি-২০ এর বৈঠক ডেকে বিশ্বকে সেই চিত্র দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি এই প্রচারকে ‘প্রপাগান্ডা’ ছাড়া কিছুই বলছে না। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের। অপরদিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, পালটা দাবি মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহদের। সুপ্রিম কোর্টেও কাশ্মীর নিয়ে নতুন কিছুই বলতে পারেনি কেন্দ্র। কবে সেখানে নির্বাচন হবে, কবেই বা রাজ্য মর্যাদা ফিরে পাবে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, তার কোনও সদুত্তর নেই মোদি-শাহদের কাছে। কিন্তু প্রচার আছে। তাই শনিবার জোর গলায় ডিজিপি দিলবাগ সিং জানালেন, জম্মু-কাশ্মীর ‘সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল’-এ পরিণত হতে যাচ্ছে শীঘ্রই। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে তা সম্ভব? যারা প্রতিবাদ করছে, আর্মির অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে, তাদেরকে বেছে নিকেশ করে দেওয়ার মাধ্যমেই কি সন্ত্রাসমুক্ত কাশ্মীর গড়ে তোলা হবে, উঠছে প্রশ্ন।
এদিন সোপরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ বলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলে পরিণত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বিশেষ করে যারা ড্রাগের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সোপরেই জঙ্গিদের অভয়ারণ্য ছিল। এখন এখানে মানুষ মুখে হাসি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবার আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ড্রাগমুক্ত কাশ্মীর। ড্রাগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ড্রাগের রমরমা বেড়েছে বলে সম্প্রতি বারবার খবরে আসছে উপত্যকা। ২০২২ সালের আগে উপত্যকায় মাদকাসক্তির সমস্যা তেমনভাবে শোনা যায়নি। অনেকেই বলছেন, কৌশলে কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মকে শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই ড্রাগের সহজলভ্যতা বেড়েছে সেখানে। এর পিছনে কারা আছে, উঠছে প্রশ্ন। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এবার ড্রাগ আসক্তদের নিকেশ করতে অভিযান করবে প্রশাসন। তার ফলে বহু তরুণের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।