পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আগামী দু-একদিনের মধ্যেই শীতঘুমে যাবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। চান্দ্ররাত্রি আসতে চলেছে। অর্থাৎ, চন্দ্রযান-৩ চাঁদের যে দিকটিতে অবস্থান করছে, সেটি টানা ১৪ দিন সূর্যালোক পাবে না। সেই সময় তাপমাত্রা হয়ে যাবে মাইনাস ২০০ ডিগ্রি। সে জন্যই শীতঘুমের প্রস্তুতি। ইসরো একটি ছবি টুইট করে জানিয়েছে, ২৩ আগস্ট অবতরণের পর থেকে রোভার প্রজ্ঞান পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর জন্য ইতিমধ্যে ১০০ মিটার পথ অতিক্রম করেছে। শীতঘুমে যাওয়ার আগে সে আরও যতটা সম্ভব পথ হাঁটবে চাঁদমামার বুকে। তারপরই শিশুর মতো ঘুমিয়ে পড়বে দুজনেই। চন্দ্রযান-৩ এর যন্ত্রগুলির শক্তির উৎস সূর্য। সৌরশক্তিতে কাজ করছে সব যন্ত্রপাতি। পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন চাঁদে আসলে এক বেলা মাত্র। ১৪ দিন পরেই চাঁদের মাটিতে সূর্য ডুবে যাবে। তখন সূর্যের আলো পাবে না চাঁদের এই মেরু। ডুবে যাবে অন্ধকারে। কার্যক্ষমতা হারাবে চন্দ্রযান। পরে সূর্যের আলো পড়লে ফের কি জেগে উঠবে তারা? সে প্রশ্নের উত্তর নেই ইসরোর কাছে।
ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভার ইতিমধ্যেই চাঁদের একাধিক রহস্য উদঘাটন করে ফেলেছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সালফারের সন্ধান পেয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। ইসরো জানিয়েছে, সালফারের পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন এমনকি অক্সিজেনের অস্তিত্বও মিলেছে এই দক্ষিণ মেরুতে। রোভার প্রজ্ঞান হাইড্রোজেনের সন্ধানও চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরো। প্রসঙ্গত, ২৩ আগস্ট, বুধবার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে চন্দ্রযান-৩। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতই সেই দেশ যার কৃত্রিম উপগ্রহ চাঁদ জয় করেছে। শুধু তাই নয়, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অগম্য স্থানে ল্যান্ড করেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’।