পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সুইডেনের অর্ধেকেরও বেশি নাগরিক দেশে পবিত্র কুরআন অবমাননা বন্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ চান বলে উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়। অন্তত ৫৩ শতাংশ সুইডিশ নাগরিক জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব কুরআনসহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। সুইডেনের কোম্পানি এসআইএফও এই সমীক্ষা চালিয়েছে। এতে দেখা গিয়েছে, দেশের বাকস্বাধীনতার আইনের আওতায় ৩৭ শতাংশ সুইডিশ ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোর পক্ষে কথা বলেছেন। সমীক্ষাটি সুইডেনের ১,২৯১জন নাগরিকের ওপর চালানো হয়েছে। এর আগে সুইডেনের সরকার ও বিরোধী দল কুরআন অবমাননা বন্ধে আইন সংস্কারের পরিকল্পনার কথা জানায়। কারণ, কুরআন অবমাননা একই হারে চলতে থাকলে তা দেশের ‘নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি’ হয়ে উঠতে পারে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, বাকস্বাধীনতার সুযোগে বারংবার কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের ঝুঁকি অনেকখানি বেড়েছে। সুইডেনের কাউন্টার টেররিজম প্রধান ফ্রেডরিক হলস্ট্রম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রাজধানী স্টকহোমে বারংবার কুরআন পোড়ানোর কারণে দেশটির চিত্র অনেকখানি বদলে গেছে। সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। আমাদেরকে এখন এ নিয়েই বাঁচতে হবে। স্টকহোমের এসব (কোরআন পোড়ানোর) ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ও গণমাধ্যমে ঘুরতে থাকবে আর আমাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক বাড়বে।’ সুইডিশ বিচারমন্ত্রী গুনার স্ট্রোমারও সতর্ক করে বলেছেন, সার্বিকভাবে সুইডেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। অদূর ভবিষ্যতে আমাদেরকে এই উচ্চ হুমকির সঙ্গেই বাঁচতে হবে। উল্লেখ্য, গত ঈদুল আযহার দিন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কুরআনে আগুন ধরিয়ে দেয় ইরাকি বংশোদ্ভূত নাগরিক সালওয়ান মোমিকা। এতে পুরো বিশ্বে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সুইডেন কুরআন পোড়ানোর পক্ষ নেয়। পরে ‘মোসাদ চর’ সালওয়ান মোমিকা বারংবার একই ঘটনা ঘটালেও দেশটির সরকার তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তী সময়ে একই ধরনের ঘটনা ঘটে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসে। গত আগস্টের শুরুতে অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এ ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সুইডেনের প্রতি আহ্বান জানায়।