পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে প্রায় দুর্গের চেহারা নিয়েছে রাজধানী দিল্লি। অতিথিদের রাখার জন্য যে বিলাসবহুল হোটেল ভাড়া করা হয়েছে তার ছাদে চক্কর দিয়ে শুক্রবার নেমেছে বায়ুসেনার একটি হেলিকপ্টার। অতিথিদের পণবন্দি করার মতো ঘটনা ঘটতে পারে এই সম্মেলন চলাকালে। তখন ভারতের আর্মি তার মোকাবিলা কীভাবে করবে, তার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে আগে থেকেই। মহড়া হয়েছে সাঁজোয়া হেলিকপ্টার নামিয়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মাছি গলতে দিতে চায় না কেন্দ্র। এ বছর ভারতের সভাপতিত্বে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে প্রগতি ময়দানের আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে। একে সামনে রেখে রাজধানী ও সম্মেলন কেন্দ্রের আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্বনেতাদের স্বাগত জানাতে ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধান সড়কগুলো বিরাট জি-২০ লোগো, স্বাগত বিলবোর্ড এবং আর্টওয়ার্ক দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। দিল্লির প্রধান সড়কগুলোকে গাছপালা, ফোয়ারা, ভাস্কর্য দিয়ে সুশোভিত এবং তিন রংয়ের লাইট দিয়ে আলোকোজ্জ্বল করা হয়েছে। শিবলিঙ্গের মতো দেখতে ফোয়ারা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার হিন্দুধর্মকে অপমান করছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোকেও নয়া রূপে সজ্জিত করা হয়েছে। ওই ক’দিন ছুটি থাকবে দিল্লির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস।
৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিমানবন্দর থেকে প্রগতি ময়দান পর্যন্ত সাধারণ মানুষের চলাচল ও পরিবহণ বন্ধ। রীতিমতো অঘোষিত লকডাউন চলবে দিল্লিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানসহ ২৫ জন রাষ্ট্রনেতা এই সম্মেলনে যোগ দিবেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টোনি আলবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, সউদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমান, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রমুখ হেভিওয়েটরা আসবেন বলে জানিয়েছেন। থাকবেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান গুতেরেস। তাই নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রেখে বিশ্বের সামনে মুখ পোড়াতে চাইছে না মোদি সরকার।