পুবের কলম প্রতিবেদক: কেউ চায় নিজের এলাকার রাস্তা, কারও দাবি কালভার্ট বা ছোট ব্রিজের। কারও আবার আধার, ‘বাংলার বাড়ি’। যা শুধু ব্যায় বহুলই নয়, রূপায়ণ সময়সাপেক্ষ। ফলে এই কর্মসূচিতে জানানো মানুষের বহু অভিযোগেরই সমাধান হচ্ছে না। নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে মুখ্যসচিব বৈঠকও করেছেন।
প্রসঙ্গত গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সূচনা করেছিলেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি। অনেকটা কল সেন্টারের আদলে। এতদিন চিঠি লিখে, ই-মেল করে মানুষ নবান্নে অর্থাৎ রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে অভিযোগ জানাতেন। এই জন্যই ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল। সেই ব্যবস্থাটাকেই আরও সহজ করতে সরাসরি মানুষের কথা শোনার আধুনিক ব্যবস্থা করতে সরকারি উদ্যোগে এই কর্মসূচি যা আদপে ৫০০ জনের কল সেন্টার। ১০০ জনের বেশি ফিল্ড কর্মী থাকবেন। প্রতিটি অভিযোগ সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তৈরি এই কর্মসূচির পর্যালোচনা রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তারা ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৪২ টি ফোন পেয়েছে। যার মধ্যে অভিযোগ ছিল ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৭৮টি। যা পরীক্ষা করে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৭৭ টি রিপোর্টের বৈধতা স্বীকার করে নিয়ে সিএমও-গ্রিভান্স পোর্টালে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে আপৎকালীন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে ১৬৩। যা প্রায় সবই সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মানুষের অভিযোগের সমাধান নিয়ে অ্যাকশান টেকেন রিপোর্ট বিভাগীয় প্রধানরা পেয়েছেন মাত্র ৫৩.৬ শতাংশ।
নবান্নর কর্তাদের কথায়, মানুষ রাস্তা, পানীয় জল, বাংলার বাড়ি,কালভার্ট, ছোট ব্রিজ বা ßুñলে শিক্ষক চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কি করে তা দেওয়া সম্ভব? রয়েছে ব্যক্তিগত সম্পত্তিগত সমস্যাও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন সব সময় যা সমাধান করতে পারছে না আইনি জটিলতায়। কিন্তু খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্য সাথী,বিধবা ভাতা,বার্ধক্য ভাতা, কিষান বন্ধু, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাচ্ছে না বলে যারা অভিযোগ জানিয়েছেন, তাদের অভিযোগ সমাধানে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
সরকারি রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৬ হাজার ৯০৪টি অভিযোগ এসেছিল। প্রকৃত অর্থে অভিযোগ সমাধান করে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে । আবার ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় সুপারের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে ২১০ টি অভিযোগ পাঠালেও সমাধান হয়েছে অনেক কটার।