পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মদিরা-বৃষ্টি! শুনলেই বিশ্বজুড়ে মদিরাপ্রেমীদের মন উচাটন হয়ে উঠবে। এতদিন আমরা আকাশ থেকে বৃষ্টিধারা ঝরতে দেখেছি। কিংবা বরফ ঝরে পড়তে দেখেছি। তা বলে মদিরা-বৃষ্টি! হ্যাঁ এমনই এক গ্রহের সন্ধান দিয়েছে নাসা। এই মহাবিশ্বে এমনও একটি জায়গা রয়েছে যেখানে মদিরা-বৃষ্টি হয়। ওই গ্রহের যেদিকেই তাকান, সবখানেই দেখতে পাবেন মদিরা-বৃষ্টি।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এই মদ মাইক্রো মলিকুলার আকারে রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, প্রোপানল আকারে এটিই মহাকাশে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় অ্যালকোহল অণু। তবে এখানেই মদিরাপ্রেমীরা খানিক হতাশ হবেন, এই কথা জেনে যে, আপাতত এটি কোনভাবেই পানযোগ্য নয়।
যদি পানযোগ্য হতোও, সেক্ষেত্রে জায়গাটি পৃথিবী থেকে এতদূরে যে সেখান এই মদিরা আনার কথা চিন্তা করাও বাতুলতা। তবে নাসার এই আবিষ্কার প্রমাণ করে, এখনও মহাকাশে এমন অনেক জিনিস আছে যা মানুষ চিন্তাও করতে পারে না।
এখন পর্যন্ত আপনি আকাশ থেকে কেবল জল এবং তুষারপাত দেখেছেন, তবে আমি যদি আপনাকে বলি যে এই মহাবিশ্বে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে অ্যালকোহল বৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, এই গ্রহের যেদিকেই তাকান, সবখানেই পাবেন মদ। আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা নাসা এ বিষয়ে বিশ্বকে জানিয়েছে, এই অ্যালকোহল মাইক্রো মলিকুলার আকারে রয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা হল প্রোপানল আকারে এটিই মহাকাশে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় অ্যালকোহল অণু। যাইহোক, এটি মোটেও পানযোগ্য নয় এবং এটি পৃথিবী থেকে এত দূরে যে এটি আনার কথা ভাবা যায়। কিন্তু এই উদ্ঘাটন একটি বিষয় নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করেছে যে মহাকাশে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা মানুষ চিন্তাও করতে পারে না।
এই মদ কোথায় পাওয়া যায়?
নাসার দেওয়া তথ্য অনুসারে, এই অ্যালকোহল যেখানে তারা-রা জন্মায়, সেই সেগিটেরিয়াস বি-২-তে পাওয়া গিয়েছে। এই অঞ্চলটি আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রের কাছাকাছি। আসলে, এই অঞ্চলের কাছাকাছি আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বড় ব্ল্যাকহোল রয়েছে। অন্যদিকে, পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৭০ আলোকবর্ষ দূরে।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোর্তিরসায়নবিদ রব গ্যারড এই ঘটনাকে খুব অনন্য বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উভয় ধরনের প্রোপানল একত্রে পাওয়া বড় ব্যাপার এবং একে অপরের গঠন নির্ধারণে অনন্যভাবে শক্তিশালী।’ সেজন্য বলা যেতে পারে দু’ধরনের প্রোপানলের মধ্যে প্রচুর মিল রয়েছে, যার অর্থ দুটি অণুকে একই সময়ে একই জায়গায় উপস্থিত থাকতে হবে।
আসলে, এমন কোনও ক্রিয়া সাধারণত মহাকাশে দেখা যায় না। বিশেষ করে মিথাইল অ্যালকোহল বা মিথানল কোথাও পাওয়া একটি বড় ব্যাপার। এই নিয়ে গবেষণার পরই বিজ্ঞানীরা গ্রহগুলির গঠন এবং ধ্বংসের প্রক্রিয়া বুঝতে সক্ষম হবেন।