পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘মব লিঞ্চিং’-‘ধর্ষণ’ সহ একাধিক অপরাধের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজার বিধান আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সংসদে এমনটাই জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শাহ এদিন জানান, জাতি,ধর্ম,বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে যে কোনও কারণে পাঁচ বা তার বেশি মানুষ দলবদ্ধ হয়ে কাউকে পিটিয়ে খুন করলে তাদের প্রত্যেকেই শাস্তি দেওয়া হবে। ঘটনায় অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাবাস কিংবা ন্যুনতম ৭ বছরের জেল হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে দোষীদের। এছাড়া, নির্বাচনের সময়ে ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার অপরাধে এক বছর অবধি কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশদ্রোহিতা ছাড়া দেশের পক্ষে বিপজ্জনক তকমা দিয়ে নতুন অপরাধকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদ, সশস্ত্র বিদ্রোহ, দেশের ঐক্য-সংহতিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত, পৃথকীকরণের দাবি এবং সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি বিপজ্জনক প্রবণতা গর্হিত অপরাধ বলে অভিহিত করা হয়েছে। কেন্দ্র যে নতুন আইন আনছে, তাতে বর্তমান ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা বাতিল ও সংশোধন করা হচ্ছে। একইভাবে সিআরপিসি এবং সাক্ষ্য আইনেও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে।
আজ বাদল অধিবেশনের শেষ দিন। জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ আমলের তিন ফৌজদারি আইনে বদল আনছে কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (ভারতীয় দণ্ডবিধি), কোড অফ ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর ( সিআরপিসি) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্টের পরিবর্তে তিনটি নতুন আইন চালুর লক্ষ্যে শুক্রবার তিনটি বিল এনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।