পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি বড় প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা বা এবি-পিএমজেওআই ১৭১টি হাসপাতালকে প্রকল্প থেকে বাদ দিয়েছে ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (এনএইচএ)। বাদ দেওয়ার মূল কারণ হল এই হাসপাতালগুলি জালিয়াতি করেছিল। এই ঘটনা দু’বছর আগের। মঙ্গলবার লোকসভায় যে ক্য্যাগ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে এই প্রকল্পে যে মানুষ মারা গেছেন তাদেরও চিকিৎসা করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ক্যাগ বলেছে একই রোগী একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা পাচ্ছেন একই সময়ের মধ্যে, তৃতীয়ত, এই ধরনের অধিকতর ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কেরল এবং মধ্যপ্রদেশে। চতুর্থত প্রায় ৯ লক্ষ এই প্রকল্পের লাভার্থী তাদের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে মাত্র একটি ফোনে। রিপোর্টে বলা হয়েছে একই রোগী যদি একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহলে তাকে আটকানোর কোনও উপায় নেই। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (এনএইএ) এই সমস্যার দিকে অঙ্গুলিহেলন করেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। ক্যাগ রিপোর্ট পেশ হয়েছে লোকসভায় যখন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এসপি সিং বাঘেল লোকসভাকে একটি লিখিত রিপোর্টে জানিয়েছেন যে সরকার আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করছে এইসব সন্দেহপূর্ণ চিকিৎসার রিপোর্ট তৈরি করতে। তাই এখন এবিপিএমজেওয়াই-এ খুব শীঘ্রই অনিয়মগুলি ধরা পড়বে। এখন মেশিনটা কাজ শিখছে। এবিপিএমজেওয়াই প্রকল্পে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছেন মাত্র একটি ফোন নম্বরে। নম্বরটি হল ৯০০০০০০০০০। এই একমাত্র নম্বরে লাভার্থিরা কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করালেন তা তারাই জানে যারা বাধা দেয়নি। ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে ডাটাবেস ও ভুলেভরা যেখানে ভুল নাম, ডুপ্লিক্যাট হেলথ আইডিস, অবাস্তব পরিবারের সদস্য সংখ্যা ইত্যাদি। এই সমস্যাগুলি যে হচ্ছে তার আগাম আভাস দিয়েছিল এনএইচএ। অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে অন্য একটি ফোন নম্বরও ব্যবহৃত হয়েছে মোটামুটি বেনেফিশিয়ারির আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম বা বিআইএস-এর ডাটাবেস পরীক্ষা করতে গিয়ে। নম্বরটি হল ৮০০০০০০০০০। ক্যাগ রিপোর্টে একটা বড় কেলেঙ্কারির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীরা।