বিশেষ প্রতিবেদন: এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝুঁকছে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই-এর চ্যাটবট হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। এটি চালু করেছে ওপেন এআই। ২০২২ সালের নভেম্বরে চালু হয়। দ্রুত উন্নতি করে চলেছে এই চ্যাটজিপিটি। আর এই উন্নয়নই আগামীদিনে মানব সভ্যতার ইতিহাসে হুমকি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চ্যাটজিপিটির প্রতিষ্ঠাতা ওপেনএআই সংস্থার সিইও স্যাম অল্টম্যান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিইও স্যাম অল্টম্যান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই চ্যাটজিপিটি বহু মানুষের চাকরি কেড়ে নেবে।
প্রায় একদশক আগে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণেই একদিন নাকি মানব সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটতে পারে। বর্তমান সময়ে চ্যাটজিপিটির দাপট ক্রমশ স্টিফেন হকিং-এর সেই আশঙ্কাকেই সত্যি করে তুলছে। ফলে চাকরির বাজারে বড়সড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে চ্যাটজিপিটি। আর সেই আশঙ্কা মিথ্যা নয়, তা পরিষ্কার হল খোদ অল্টম্যানের বক্তব্য থেকে।
অল্টম্যান তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতে ৫টি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন
১) চ্যাটজিপিটি অগ্রগতি ও সীমাবদ্ধতা: চ্যাটজিপিটি ২০২২ সালের নভেম্বর শুরু হওয়ার পর থেকেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তবে এআই টুলগুলি এখনও নিখুঁত নয়, বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
২) আরও শক্তিশালী এআই প্রকাশ করা হচ্ছে: অল্টম্যান জানিয়েছেন, ওপেন আই-এর আরও শক্তিশালী এআই তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলির কথা ভেবে এটি প্রকাশের আগে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, বহু মানুষ মনে করেন সভ্যতার কল্যাণেই কাজ করবে চ্যাটবট। কোনভাবেই মানুষের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হবে না সে। কিন্তু বিষয়টা তা নয়। চাকরি অবশ্যই হারাবে মানুষ।
৩) অত্যাধুনিক পরিকল্পনা: অত্যাধুনিক এআই-এর কল্পনাও নাকি ‘অস্বস্তিকর’। ভবিষ্যতের পৃথিবীতে গা ঘেঁষাঘেঁষি করেই বেঁচে থাকবে মানুষ ও এআই… পরিষ্কার ভবিষ্যদ্বাণী অল্টম্যানের।
৪) ভারত ও এআই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: অল্টম্যান জানিয়েছে কাজ হারালেও আরও নতুন চাকরি আসবে। অল্টম্যান এআই-এর প্রতি ভারতের উৎসাহের প্রশংসা করেছেন এবং দেশে এই স্টার্টআপগুলিকে সমর্থন করার জন্য ওপেনআই-এর পরিকল্পনার কথা বলেছেন।
৫) উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি: অল্টম্যান জানিয়েছেন, এআই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখালেও এটি সমাজের জন্য চ্যালেঞ্জও তৈরি করেছে। অল্টম্যানের অন্তর্দৃষ্টিগুলি হল এআই এর বিকাশ মানবতার সর্বোত্তম স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। চাকরির বাজারে অযথা বিঘ্ন সৃষ্টি না করেই ইতিবাচক অগ্রগতিকে আগামীদিনে আরও কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার পদক্ষেপ নেবে এআই।