পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ব্রিটেনে আগামী বছরই সাধারণ নির্বাচন। আর তার আগে বড়সড় ধাক্কা খেল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল। উপনির্বাচনে নর্দার্ন লন্ডন আসনটি হেরে গিয়েছে টরি পার্টি।
এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের একটি আসন হাতছাড়া হয়েছে ঋষি সুনাকের দলের। সেদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুই কেন্দ্রেই কনজারভেটিভ পার্টির জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। তবে এমপি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া বরিস জনসনের আসনটি নিজেদের দখলে রেখেছে কনজারভেটিভ পার্টি।
গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন ঋষি সুনাক। তারপর থেকে দু’টি উপনির্বাচনে হেরেছে তাঁর কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয়বার উপনির্বাচনে হারলে ব্যর্থতার নয়া নজির গড়তেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তবে খুব কম ব্যবধানে সাউথ রুইসলিপ ও উক্সব্রিজ আসন দুটিতে জিতেছে ব্রিটেনের শাসক দল। কিন্তু দু’টি গুরুত্বপূর্ণ আসন তাদের হাতছাড়া হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কনজারভেটিভদের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির দখলে গিয়েছে সেলবি ও আইনস্টি আসনটি।
অন্যদিকে, মধ্যপন্থী লিবারাল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জিতেছেন সমারটন ও ফ্রোম আসনটি। তবে বরিস জনসনের ছেড়ে যাওয়া আসনে জিতলেও স্বস্তিতে থাকবে না কনজারভেটিভ পার্টি। সেখানে আগের তুলনায় বিরোধীদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ অনেকখানি বেড়েছে বলেই দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরপর হারের ফলে আগামী সাধারণ নির্বাচনে অনেকটাই ব্যাকফুটে থাকবে কনজারভেটিভ পার্টি। ২০২৪ সালের শেষের দিকেই সেদেশে নির্বাচন হতে পারে। ঋষির সরকারের ব্যর্থতার কারণ হিসাবে উঠে আসছে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর কর নীতি।