পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ১১১ বছর আগে পৃথিবীর ইতিহাসে ঘটেছিল টাইটানিক দুর্ঘটনা। ১৯১২-য় উত্তর আটলান্টিকে বিরাট একটি হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় তৎকালীন যুগের অন্যতম বিলাসবহুল জাহাজ ‘RMS টাইটানিক’। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় ক্র ও যাত্রী মিলিয়ে প্রাণ হারান প্রায় দেড় হাজার জন।
সেই টাইটানিকের ধবংসস্তূপ দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে বিস্ফোরণ হয়। টাইটানিকের মতোই পরিণতি হয় সাবমেরিন ‘টাইটান সাবমার্সিবল’-লের। সেই ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ভেতরে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড।
গত ১৮ জুন পাঁচ অভিযাত্রী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের নিচে ডুব দেয় টাইটান।
এর এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর ডুবোযানটির সঙ্গে ওপরের সহযোগী জাহাজ ‘পোলার প্রিন্স’-এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই টাইটানে বিস্ফোরণ ঘটে।
টাইটানের ধ্বংসস্তূপের ভেতর দেহাবশেষ পাওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড বলেছে, ‘টাইটানের ভেতর পাওয়া (অনুমানকৃত) মানব দেহাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা বিচার-বিশ্লেষণ করবেন।’
ওই দিন টাইটানের ভেতর চড়ে টাইটানিক দেখতে গিয়েছিলেন ডুবোযানটির পরিচালনাকারী সংস্থা ওশেনগেটের সিইও স্টকটন রাশ, পাইলট পল-হেনরি নারগোলেট, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ এবং ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং।
ধারণা করা হচ্ছে, ডুবোযানটিতে বিস্ফোরণ হওয়ার পরপরই এর ভেতরের যাত্রীদের মৃত্যু হয়। টাইটানের এসব ধ্বংসাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের একটি কাটারে নিয়ে যাওয়া হবে।