পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দেশে গৃহবধূদের অধিকার সম্পর্কিত কোনও আইন নেই। তাদের অবদানের কথা আলোচনায় উঠেও আসে না। নারীর অধিকার নিয়ে আলাপ-আলোচনা হলে সেখানেও ডাক পান না গৃহবধূরা। অনেকেই পেশাগত জগতে সাফল্য পাওয়ার পর স্বামী-সন্তানের কথা ভেবে চাকরি ছাড়েন। কিন্তু স্বীকৃতি কই?
তামিলনাডুর কামসালা আম্মাল নামে এক গৃহবধূ তাঁর স্বামীর রোজগারে কেনা সম্পত্তিতে অর্ধেক মালিকানা দাবি করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি সারাজীবন স্বামী-সন্তানের কথা ভেবে ঘরের বাইরে বেরিয়ে রোজগার করেননি। সেই কারণেই তাঁর স্বামী চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। অতএব তাঁর স্বামীর রোজগারে কেনা সম্পত্তিতে তাঁর অর্ধেক অধিকার রয়েছে।
২০১৫ সালে কামসালার স্বামী তাঁর দাবি মেনে নেয়নি বলে তিনি নিম্ন আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেখানেও হেরে যান ওই গৃহবধূ। এরপর তিনি মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি ওই মামলার রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি কৃষ্ণন রামাস্বামী বলেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গৃহবধূর অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য কোনও আইন দেশে নেই। কিন্তু আদালত এই অবদানকে স্বীকৃতি দেয়। সারাজীবন পরিবারের জন্য নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে যারা কাজ করে চলেছেন, তাদের স্বামীর কেনা সম্পত্তিতে অধিকার রয়েছে। ফলে স্বামী নিজের রোজগারের টাকায় যে সম্পত্তি কিনবেন, তার অর্ধেকের মালিক হবেন গৃহবধূ স্ত্রী।
শেষ পর্যন্ত এই রায়ের পর সন্তানদের বিরোধীতা সত্ত্বেও কামসালা আম্মাল তাঁর মৃত স্বামীর কেনা সম্পত্তিতে অধিকার পান।