পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সাংবাদিকের কাজের জায়গায় চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম নিজের সুদৃঢ় অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছে।জার্মান ট্যাবলয়েড ‘বিলড’ তাদের সংস্থা থেকে ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করবে। কারণ এবার এই সংস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সংস্থা চালাবে। এডিটর, প্রিন্ট প্রোডাকশন স্টাফ, সাবডিটর, প্রুফরিডার এবং ফটো এডিটররা আজকের মতো আর থাকবে না। এই কাজগুলি চালাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
গত ফেব্রুয়ারিতে, সিইও ম্যাথিয়াস ডফনার ‘সম্পূর্ণ ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি হওয়ার দিকে সংস্থার কৌশলগত পরিবর্তনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন। এআই সরঞ্জামগুলি, যেমন চ্যাটজিবিটি, স্বাধীন সাংবাদিকতার ল্যান্ডস্কেপকে বিপ্লব ঘটাতে পারে। ডফনার দাবি করেছেন, যে এই সরঞ্জামগুলি সাংবাদিকতার গুণমানকে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথ্য একত্রিতকরণের মতো কাজে পারদর্শী হবে।তবে এই পথে জার্মান ট্যাবলয়েড ‘বিলড’ তাদের সংস্থা থেকে একা নয়। সাংবাদিকের চাকরির জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করতে চলেছে বলে জানান, জার্মান প্রকাশক অ্যাক্সেল স্প্রিংগার। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মুখপাত্র অস্কার লিউ জানালেন, চ্যাটজিপিটিকে সাংবাদিক হিসেবে রিপোর্ট লিখতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যে রিপোর্ট লিখতে ২ দিনের বেশি সময় লাগে, জিপিটি প্রমোট মাত্র ৪০ সেকেন্ডেই ৯০০ শব্দের গ্রহণযোগ্য ও নির্ভর করার মতো রিপোর্ট আধুনিক ভাষায় লিখে দিয়েছে।ফলে সারা বিশ্বে সব ভাষা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষার সাংবাদিকতায় ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির স্বনামধন্য মিডিয়া গ্রুপের সিইও অ্যাক্সেল স্প্রিংগার।
উল্লেখ্য, ‘বিলড‘ ১৯৫২ সালে অ্যাক্সেস স্প্রিংগার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিল্ড শীঘ্রই সর্বাধিক বিক্রিত ট্যাবলয়েড হয়ে ওঠে। শুধুমাত্র জার্মানিতে নয়, সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। তবে জার্মানিতে মানুষের কাছে আলাদা জায়গা করে নেয়। এর বেশিরভাগ ইতিহাসের মাধ্যমে, বিল্ড হামবুর্গে অবস্থিত ছিল। কাগজটি ২০০৮ সালের মার্চ মাসে তার সদর দফতর বার্লিনে স্থানান্তরিত করে। এটি একটি জাতীয় সংবাদপত্রের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে। গোটা দেশব্যাপি ৩২টি স্থানীয় সংস্করণ সহ মুদ্রিত হয়। স্পেন, ইতালি, তুরস্ক এবং গ্রীসের মতো বিদেশের কিছু পছন্দের জার্মানে কিছু জায়গায় এই ট্যাবলয়েডের মুদ্রণ শুরু হয়। ১৯৮০’র দশকে প্রতিদিন পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি করেছিল। ১৯৯৩ সালে কাগজটির চার মিলিয়নেরও বেশি কপির প্রচলন ছিল, যা এটিকে দেশের সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্রে পরিণত করে। ১৯৯৫-৯৬ সালে ৪, ৩০০০, ০০০ কপি ছাপা হয়। ২০০১ সালে বিলড ছিল ইউরোপে ও জার্মানিতে ৪, ৩৯৬, ০০০ মুদ্রিত সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র।