দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: “উপাচার্য আর এস এসের দালাল”, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে নিয়ে বললেন জেএনইউ বাম ছাত্র নেত্রী ঐশী ঘোষ। পাশাপাশি, আন্দোলন আরও জোরদারের হুমকি দিলেন ঐশী ঘোষ ও বাদশাদ মৈত্ররা। অন্যদিকে, ইমেইলে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার পাল্টা চাপের কৌশল নিল কর্তৃপক্ষ।
এভাবেই চার দিনের ছাত্র আন্দোলনে জেরবার বিশ্বভারতী। ৩০ অগাস্ট উপাচার্যের বাস গৃহের গেটে ফেস্টুন, ব্যানার লাগানোর সময় পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রী সায়নী চক্রবর্তী ও শ্রেয়া চক্রবর্তীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের শান্তিনিকেতন থানায়। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের কাছে বিশাল সংখ্যক অধ্যাপকদের মধ্যস্থতা নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় হুলুস্থুল বেঁধে যায়। পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বশংবদ অধ্যাপকদের দিয়ে মিডিয়ার সামনে একটি বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছেন, ছাত্র আন্দোলনের জেরে রেজাল্ট আউট, ভর্তি প্রক্রিয়া সহ ন্যাকের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
পাশাপাশি এদিন “বলাকা” ও “পূরবী” দুটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। এরফলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধের দায় চাপানো হয় ছাত্র আন্দোলনের উপর।
মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর সমস্ত পড়ুয়ারা ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়াও পড়ুয়াদের আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য্য এবং জে এন ইউ বাম ছাত্র সংগঠনের নেত্রী ঐশী ঘোষ। পড়ুয়াদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে তাঁরা মঞ্চে উপস্থিত হয়ে পদযাত্রা মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে শহরের রাস্তায়। পাশাপাশি পথ অবরোধ কর্মসূচিতে শামিল হন তাঁরা।
শহরের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন অভিনেতা বাদশা মৈত্র, সৃজন ভট্টাচার্য্য এবং ঐশী ঘোষেরা।
ঐশী ঘোষ বলেন, বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য আরএস এসের দালাল। উনি রাজনৈতিক মেরুকরণ করতে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও এর আন্দোলন হবে। তিন পড়ুয়াদের বহিষ্কার না তুললে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।