কৌশিক সালুই, বীরভূম :- সময়োপযোগী ভাতা সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি জানালেন অল বেঙ্গল ইমাম মুয়াজ্জিন এসোসিয়েশন এন্ড চারিটেবল ট্রাস্ট। সোমবার বীরভূমের সিউড়ীতে ডি আর ডিসি হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সারা জেলা থেকে প্রায় ৫০০ জনের প্রতিনিধির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নিজামুদ্দিন বিশ্বাস, বীরভূম জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, রাজ্য সভাপতি জিয়াউল হক লস্কর, বীরভূম জেলা চেয়ারম্যান নজরুল আলম, সম্পাদক মাওলানা শামীম আখতার এবং সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
পশ্চিমবাংলায় বাম শাসন অবসানের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঞ্চিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প গ্রহণ করতে শুরু করে তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য। সেইমতো রাজ্যের সমস্ত মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের যথাক্রমে আড়াই হাজার ও এক হাজার টাকা করে ভাতা চালু করেন।
সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম কিন্তু দীর্ঘ ১২ বছর পরেও ওই একই জায়গায় রয়েছে তাদের ভাতা। বর্তমানে সেই ভাতা যথাক্রমে 10 হাজার এবং আট হাজার করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের বাড়ি,তাদের ছেলেমেয়েদের সঠিক পড়াশুনার ব্যবস্থা প্রভৃতি দাবি জানালেন অল বেঙ্গল ইমাম মুয়াজ্জিন এসোসিয়েশন এন্ড চেরিটেবল ট্রাস্ট।
এছাড়াও এখনো বেশ কিছু কবরস্থান এখনো পর্যন্ত পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়নি সেগুলো দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও সংগঠনের নেতৃত্ব আশাবাদী মানবিক মুখ্যমন্ত্রী তাদের দাবি দাওয়া গুলি দ্রুত সুবিচার করবেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নিজামুদ্দিন বিশ্বাস বলেন,” ইমাম ও মুয়াজ্জিন ভাতা চালু হওয়ার পর থেকে আরও কিছু সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম আছে তার প্রচার আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কর্তা ব্যক্তিরা করে থাকেন। আমাদের দাবি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলো দ্রুত পূরণ করতে হবে এবং ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন”।
সংগঠনের বীরভূম জেলার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন,” যে পরিমাণে ভাতা দেওয়া হচ্ছে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সেটা সময়োপযোগী নয়। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। আমরা রাজ্য সরকারের পাশে আছি। বাল্যবিবাহ রোধ বৃক্ষরোপণ প্রকল্প প্রভৃতির প্রচার এবং প্রসার কাজ কর্মের সঙ্গেও আমাদের সংগঠন যুক্ত আছে”।
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন,” বাম আমলে বঞ্চিত রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের কথা একমাত্র রাজ্যের বর্তমান সরকার ভেবেছে। এর আগে সব দিক থেকেই পিছিয়ে ছিল রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
কিন্তু সেই চিত্র এখন আমূল বদলেছে। তাদের এই দাবির সঙ্গে আমরা সহমত পোষণ করছি। অবশ্যই রাজ্য সরকার ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি মানবিক দৃষ্টি দিয়ে বিচার বিবেচনা করবে”।
T