পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারতে ক্রমশই বাড়ছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। বর্তমান সমাজে এমন ধরনের অপরাধ ঘটছে, আগে যা ছিল কল্পনাতীত। ফের তেলেঙ্গানায় এক বীভৎস, নারকীয় ঘটনা সামনে এল। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন ১৯ বছরের তরুণী। খুনের নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছে গোটা সমাজ। তরুণীর চোখে স্ক্রু-ড্রাইভারের কোপ মেরে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে খুন করে তার দেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তেলেঙ্গানার কালাপুর গ্রামের ভিকারাবাদ জেলার ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুনের নেপথ্যে কাজ করছে আক্রোশ। তবে কি কারণে এই নৃশংসভাবে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মৃতার নাম জুট্টু সিরিশা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ জুন রাত ১১টা নাগাদ জুট্টু তার ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। পরে স্থানীয়রা একটি পুকুরে মেয়েটির রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, একের পর এক খুনের ঘটনার নৃশংসতায় স্তম্ভিত গোটা সমাজ। যা ভাবিয়ে তুলছে প্রশাসনকেও। সাম্প্রতিককালে হওয়া ঘটনাগুলি ‘বীভৎস’ এই শব্দটিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
দিল্লিতে লিভ ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুনের পর তার দেহের ৩৫ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয় তার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। এর পরেও ঘটেছে নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ড। নিক্কিকে বিয়ে করার পর পরিবারের সহযোগিতায় তাকে খুন করে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তার প্রেমিক। এখানেই থেমে থাকেনি নারীদের প্রতি অত্যাচার। ৩২ বছরের সরস্বতী বৈদ্যর সঙ্গে ও ৫৬ বছরের মনোজ সাহানির লিভ-ইন-এর সম্পর্ক সামনে আসে। যেখানে সরস্বতীকে প্রথমে কুড়ুল দিয়ে ২০ টুকরো করে, প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করার অভিযোগ ওঠে মনোজ সাহানির বিরুদ্ধে। তার পর সেই দেহ সেদ্ধ করার পর মিক্সার গ্রাইন্ডারে পিষে কুকুরকে খাওয়ানো হয়।
সম্প্রতি হায়দরাবাদে শামশাবাদের কাছে নারকুদা গ্রামে বিবাহিত পুরোহিত ভেঙ্কট সূর্য সাই কৃষ্ণ-এর সঙ্গে অপ্সরা নামে এক বেসরকারি কর্মীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অপ্সরা। বিয়ের করতে চাওয়ার অপরাধে অপ্সরাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন পুরোহিত সাই কৃষ্ণ।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের চন্দ্রায়ণগুট্টায় ১৬ বছরের এক নাবালিকার ওপরে পাশবিক অত্যাচার চালায় চার যুবক। এই ঘটনায় একটি মেয়ের ফাঁদে পড়ে ওই নাবালিকা। ওষুধের দামে ছাড় দেওয়ার নাম করে ওই প্রতারক মহিলা চার যুবকের হাতে তুলে দেয় ওই নাবালিকাকে। একটি ঘরে নাবালিকাকে আটকে রেখে নরম পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাকে অচৈতন্য করে গণধর্ষণ করা হয়।
সম্প্রতি মুম্বইয়ের গার্লস হস্টেলে ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে ওড়নার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে তার রুমেই ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।