পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বালেশ্বর দুর্ঘটনায় প্রায় তিনশো ছুঁইছুঁই মৃত্যুর সংখ্যা। এখনও বহু দেহকে শনাক্ত করা যায়নি। দেহের অবস্থাগুলি এত খারাপ যে তাদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। চারদিকে ভয়াবহতার নিদর্শনের সাক্ষী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে বাহানাগা বাজার স্টেশন। এই আতঙ্কের মধ্যেই এবার হাওড়া-দিল্লি গ্র্যান্ড কর্ড লাইনের সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার। দফায় দফায় বৈঠক সেরেছেন বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জেনারেল ম্যানেজার শ্রী অমর প্রকাশ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে পূর্ব রেল নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রেল পরিচালনা করছে। কর্মীদের বিভিন্ন নিরাপত্তার বিষয়ে অবগত করতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা সেমিনার করা হচ্ছে। রেলওয়ে সেফটি ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে নিয়মিত মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং রিফ্রেশার কোর্স করা হচ্ছে। লেভেল ক্রসিং গেটস, ব্রিজ, রেলওয়ে ট্র্যাক, পয়েন্ট ও ক্রসিং ইত্যাদি নিয়মিতভাবে অফিসার এবং সুপারভাইজারদের দ্বারা চেক করা হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন, সেটাই এখন পূর্ব রেলের একমাত্র লক্ষ্য।
বাহানাগা দুর্ঘটনার পরে, রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নজরদারিতে জোর দেওয়া হল। এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনা। যাঁরা এই অভিশপ্ত ট্রেনযাত্রা থেকে বেঁচে ফিরেছেন, তাদের স্মৃতিতে টাটকা ট্রেনের ভয়াবহ যাত্রা। ট্রেন যাত্রা করতেই ভয় পাচ্ছেন, বহু মানুষ।