পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এক অন্য রূপে দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। এক ছোট্ট ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কন্যার বিয়ে দিলেন তিনি। মোদি ঘনিষ্ঠ গুজরাতের এক বাসিন্দার সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মেয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে চার হাত এক হয়। তবে এই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল নিতান্তই ঘরোয়া। চোখ ধাঁধানো আড়ম্বরের বালাই ছিল না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কন্যার বিয়েতে। বেঙ্গালুরুর জয়নগর এলাকার এক হোটেলে আয়োজিত এই বিয়ের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র সীতারমন পরিবারের আত্মীয় এবং বন্ধুরা অংশ নিয়েছলেন। কোনও রাজনৈতিক হেভিওয়েট নেতা বা অন্য জগতের সেলেবদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
পাত্রের নাম প্রতীক দোশি। ব্রাহ্মণ রীতিনীতি মেনেই হয় নির্মলা সীতারমণের কন্যা পরকালা বঙ্গময়ীর বিয়ের সম্পন্ন হল। উদুপি আদামারু মঠের পুরোহিতরা বর ও কনেকে আশীর্বাদ করেন। মঠের বৈদিক নিয়মে বিবাহ হয়। বিয়ের দিন, সবুজ ব্লাউজের সঙ্গে পরকালা একটি গোলাপী রঙের শাড়ি পরেছিলেন। প্রতীকের পরনে
সাদা পাঞ্চা ধুতি ও শাল। অন্যদিকে কনের মা, অর্থাৎ নির্মলা সীতারামন পরেছিলেন একটি মোলাকালমুরু শাড়ি।
প্রতীক দোশি গুজরাতের বাসিন্দা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট স্কুলের স্নাতক, প্রতীক বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে নিযুক্ত। মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন, প্রতীক গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় গুজরাত থেকে প্রতীক দোশিকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ে এসেছিলেন। ২০১৯ সালের মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় তাঁকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি পদে নিযুক্ত করা হয়।
অন্যদিকে নির্মলা সীতারামনের মেয়ে পরকালা বঙ্গময়ীর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর এবং নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মেডিল স্কুল অব জার্নালিজম থেকে তাঁর সাংবাদিকতা বিষয়ে এমএস ডিগ্রি আছে। বর্তমানে তিনি ‘মিন্ট লাউঞ্জে’র ফিচার রাইটার হিসেবে কর্মরত।