পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মেডিক্যাল উদ্যোগপতি হিসেবে কীভাবে কাজ শুরু করা যেতে পারে তার একগুচ্ছ টিপস দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক– হাসপাতালের কর্মকর্তারা। শুক্রবার রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম আয়োজিত জুম মিটিংয়ে জিডি হাসপাতালের সিইও মুশরেফা হোসেনের পরামর্শ– কোনও কাজের আগে প্ল্যানিং করতে হয়। সেই সঙ্গে প্রথমে নিজ বা পরিচিতদের নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়। এরপর ধাপে ধাপে এগোতে হবে। পাশাপাশি মার্কেট সিস্টেম সম্পর্কেও জ্ঞান রাখতে হবে। নিজের কাজের উপর ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। মুশরেফা হোসেন আরও বলেন– এই কাজে উদ্যোগপতি ও পুঁজিপতির প্রয়োজন। তিনি বলেন– সংস্থার স্বার্থের সঙ্গে রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। দুটিকে সামঞ্জস্য রেখে চলা প্রয়োজন। কোনও প্রতিষ্ঠানের মূল বিষয় হল ‘হেলথ কেয়ার কমিউনিকেশন’। আর এর জন্য বেশি প্রয়োজন ‘সফট স্কীল’। পাশাপাশি চিকিৎসক– নার্স– স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট ব্যক্তিদেরও স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে সাধারণ ধারণা রাখতে হবে। আধুনিক চিকিৎসার বিষয়গুলির উপরও নজর রাখতে হবে। ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট’ সম্পর্কে জানতে হবে। পরিষেবা গ্রহণকারীরা কী চান– সেই বিষয়েও নজর রাখতে হবে।
এদিন তাহিরিয়া হাসপাতালের অন্যতম কর্মকর্তা মইনুদ্দিন সরদারের বক্তব্যের সারমর্ম– কোনও কিছু ছোট থেকে শুরু করতে হয়। তিনি বলেন– উত্তর ২৪ পরগণার তাহিরিয়া হাসপাতালের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। আর এই হাসপাতালের পরিপূর্ণতা পায় ২০০৫ সালে। প্রথমে আউটডোর থেকে শুরু। তারপর প্যাথলোজি। আবদুস সামাদ সাহেব প্রতিষ্ঠিতি উত্তর ২৪ পরগণায় তাহিরিয়া হাসপাতাল এখন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজে সুনাম অর্জন করেছে।
ডা. সিদ্দিকী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. সাফি ইকবাল সিদ্দিকীর বক্তব্য– কোন উদ্যোগকে সাফল্যে পরিণত করতে হলে আগের পরিকল্পনা করতে হবে। সেই সঙ্গে ঝুঁকি নিতে হবে। নিজেকেও চিনতে হবে। কী পারি– আর কী পারি না তা ভাবতে হবে। কোনও কাজ করতে হলে সহযোগিতা লাগে। অনেকের সঙ্গে কাজ করার জন্য স্বচ্ছতারও প্রয়োজন। কোনও ক্লিনিক– ল্যাব– হাসপাতাল করতে হলে সরকারি নিয়ম কানুনকেও অনুসরণ করে তা পূরণ করতে হবে। কোনও হাসপাতাল চালু হলে সেখানে অনেক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেই বিষয়গুলিকে সতর্কতার সঙ্গে সামলাতে হবে। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এখন সরকারও বিভিন্ন ভাবে জড়িত। দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন– স্বাস্থ্যসাথী– অন্যান্য হেলথ স্কীমগুলির ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে করতে হয়। বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের উপর বিশেষভাবে নজর রাখছে সরকার। সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যের অধিকার এবং রাষ্টেÉর প্রতি দায়িত্বকেও অনুসরণ করতে হবে। এদিন জুম মিটিং পরিচালনায় ছিলেন সমাজসেবি সাবির আহমেদ।
এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে সাবির আহমেদ বলেন– দেশের চিকিৎসকের অনুপাত ১:১৬৭৪। তাদের চিকিৎসা পরিষেবায় ব্যাপক পরিসর রয়েছে এ দেশে। এদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন একগুচ্ছ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ বিশিষ্টরা।