পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ‘বিবিসি ডকুমেন্টারি, ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অভিযোগে এক বছরের জন্য পিএইচডি ছাত্র, নেতাকে শো-কজের নোটিশ দেয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে।
একক বেঞ্চের শুনানিতে বিচারপতি পুরুষেন্দ্র কুমার কৌরব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পিএইচডি স্কলার, কংগ্রেসের ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় সম্পাদক লোকেশ চুঘকে তার বক্তব্য বলার সময় দেয়নি। চুঘের আবেদন ব্যাখ্যা করার কথা বিবেচনা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, লোকেশ চুঘ এই মাসের শুরুতেই তাকে শো-কজ করার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, আদেশের আগে ঘটনা পর্যবেক্ষণ না করেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের সময় আবেদনকারি সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা খতিয়ে দেখা হয়নি। কি কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই আদেশ দিল তা নির্ধারণ করা আবশ্যক।
এদিকে আদালতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে উপস্থিত থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারামণি বলেন, পিএইচডি স্কলার চুঘ আদালতে একটি মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, স্ক্রীনিং চলাকালীন তিনি উপস্থিত ছিলেন না। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করে, চুঘকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়। ঘটনার দিনের আচরণ ব্যাখ্যা করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
চুঘের হয়ে আদালতে মামলা লড়েন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। মামলায় সিব্বল যুক্তি দিয়ে বলেন, সাধারণ ন্যায়বিচারের নীতিগুলি মেনে না চলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্দেশগুলিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
পালটা অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রক্টরকে জানানো উচিৎ ছিল। হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করেছে যে সাধারণ ন্যায়বিচারের নীতির প্রতি আনুগত্যের অভাবের জন্য স্থগিতাদেশের আদেশ বাতিল করা হচ্ছে, তবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, আদালতে ‘বিবিসি ডকুমেন্টারি, ইন্ডিয়া: দ্য মোদি’-র বিরুদ্ধে গত ২৭ জানুয়ারি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের প্রধান ক্যাম্পাসে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন হয়। সেই বিক্ষোভে কয়েকজন শিক্ষার্থী শামিল হন। চুঘের বক্তব্য ছিল, সেই সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না, সেই সময় তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চুঘের বিরুদ্ধে একটি শো-কজ নোটিশ দেন। চুঘ জানিয়েছিলেন তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি তার জবাব দিয়েছেন।