পুবের কলম প্রদিবেদক: শিক্ষক বদলির আবেদনের সময়সীমা বাড়ালো মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করে কমিশন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় ১৮ এপ্রিল। কমিশন জানিয়েছে, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের আগে বদলি সম্পন্ন করতে হবে। তাই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আবেদন প্রার্থীদের কথা ভেবে বদলির আবেদন বাড়ানো হয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শিক্ষকদের স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি দিতে। কারণ, দূরের কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াতে শিক্ষকশিক্ষিকারা সব সময় একটা মানসিক টেনশনের মধ্যে থাকেন। তাই শিক্ষকদের নিয়োগের পাশাপাশি ট্রান্সফারে সরলীকরণ করতে। এই নিয়ে শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে চালু হয়েছে উৎসশ্রী। মাদ্রাসাতেও শিক্ষক বদলির জন্য পোর্টাল চালু হয়েছে। ইতিপূর্বে অনলাইন পোর্টালে আবেদনের মাধ্যমে ট্রান্সফার করা হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষক বদলি হলেও ২৫ জন ‘টিচার’ নির্ধারিত মাদ্রাসায় নিযুক্ত হতে পারেননি। একাধিকবার বিভিন্ন দফতরে দরবার করলেও বদলি হয়নি। অবশেষে কমিশন জানিয়েছে, পরবর্তী বদলির সময় তাঁদের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
এ দিকে মাদ্রাসায় কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকদের তথ্য যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মতো ৭০০ -এর বেশি কমিটির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা তথ্য জমা দিয়েছে সুপ্রিম-কমিশনের কাছে। জমা দেওয়া তথ্যগুলির নির্ধারিত তারি’ অনুসারে হেয়ারিং শুরু করেছে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত ওই কমিটি।
এদিকে শিক্ষক বদলি নিয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের যুক্তি, শিক্ষক বদলি করা হলে অনেক শূন্যপদ তৈরি হবে। শূন্য আসনগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ শুরু করা হবে। শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও কমিশন তোড়জোর শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।
শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, কমিশন বলেছে, যাঁরা আগে আবেদন করেছে, অথচ বদলি পায়নি। তাঁদের এ’ন বদলির আবেদনের প্রয়োজন নেই। একই সঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, আগে যাঁরা আবেদন করেননি, তাঁরা ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। আর এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
উল্লেখ্য, স্কুলে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সময়োপযোগী উৎসশ্রী প্রকল্প চালু হয়েছে। সেদিক থেকে বলতে ২০১০ সালের নিয়ম মাদ্রাসার জন্য প্রায় দেড় দশকের পরও বহাল থাকলো। একাংশের অভিযোগ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবসময়ই অবহেলা, বঞ্চনা ও বৈষম্যের স্বীকার। এর প্রতিকার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকারা।