পুবের কলম প্রতিবেদক: সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশি করে টাকা তোলা হচ্ছে। বাসের ভাড়া নিয়ে এমনই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। তারপর সেই মামলার রায় দিয়েছে কলকাতা উচচ আদালত। তাতে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, সব বাসেই রাখতে হবে ভাড়ার তালিকা।
আরও বলা হয়েছে, মানুষ যাতে অভিযোগ জানাতে পারে তার জন্য সব বাসেই রাখতে হবে টোল-ট্রি নম্বর। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশের পর বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করছে পরিবহণ কর্তারা। ফলে এবার থেকে সব বাসেই থাকতে চলেছে ভাড়ার তালিকা। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলেছে বাস সিন্ডিকেটগুলি। তাদের যুক্তি- ২০১৮ সালের পর নতুন করে ভাড়ার তালিকা তৈরি করা হয়নি। ফলে পুরানো ভাড়াতে বাস চালানো যাবে না। আগের তুনলায় খরচ অনেক বেড়েছে, তাই সরকারকে ভাড়া নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশে বাতিল হচ্ছে ১৫ বছরের বেশি বয়সি বাণিজ্যিক গাড়ি। কলকাতা ও হাওড়াতে আর চালানো যাবে না ১৫ বছরের পুরানো বাস-ট্যাক্সি। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুসারে শুরু হয়ে গিয়েছে বাতিল প্রক্রিয়াকরণের কাজ।
জানা গিয়েছে, শহর থেকে দূষণ কমানোর উদ্দেশ্যে পুরানো যানবাহন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূষণের নিরিখে বিপজ্জনক সি-৪০ শহরগুলির মধ্যে আছে কলকাতা। ধীরে ধীরে পুরানো যানবাহনগুলি বাতিল করা হবে করা হবে।
ইতিমধ্যে ১৫ বছরের পুরনো গাড়িগুলি স্ক্র্যাপ করা হচ্ছে, মোট তিন ধাপে ওই যানবাহন স্ক্র্যাপ করা হবে। বর্তমানে যেসব গাড়ি ১ জানুয়ারি, ২০০৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০০৭-এর মধ্যে যে রেজিস্টার্ড হয়েছিল, সেগুলি আর কলকাতা ও হাওড়ার রাস্তায় চালানো যাবে না। এ নিয়ে পরিবহণ দফতরের অফিসাররা বলছেন, পুরানো বাণিজ্যিক যানবাহন স্ক্র্যাপিংয়ের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে পারমিটের পুরানো গাড়ির মালিকদের ট্যাক্সে ছাড় দেওয়া হবে।