পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ম্যারেজ হলের ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির। মৃতের নাম রঘু সোলাঙ্কি। গুজরাতে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গত এক মাসে এই নিয়ে আন্ডার গ্রাউন্ড ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় শ্রী রাম নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মৃতের দেহ নিতে অস্বীকার করেছেন তার পরিবার। তারপরেই ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে স্থানীয় পুলিশ।
ঘটনাপ্রসঙ্গে মৃতের স্ত্রী দেবু বেন জানান, কোনও রকম সরঞ্জাম ছাড়াই তারা আমার স্বামীকে ড্রেনের লাইন পরিষ্কার করতে নামান। তারা জানতেন যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়া ম্যানহোলের নীচে নামালে রঘুর শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তারপরেও সেফটি-সরঞ্জাম ছাড়ায় রঘুকে নীচে নামতে বাধ্য করে হলের ম্যানেজার শ্রী রাম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে যে কোনও রকম নিরাপত্তা গিয়ার ছাড়াই ড্রেনের ভেতরে নেমেছিলেন ওই সাফাই কর্মী। যে ঠিকাদারের অধীনে তাঁরা কাজ করছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন গুজরাতের উন্নয়নের মডেল নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। এই শব্দগুচ্ছটি বিজেপির নেতা ও দলের সমর্থকরা গুজরাতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করে থাকে। অথচ সেই গুজরাতের ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই মৃত্যুর ঘটনা।
ভারতে ম্যানুয়াল স্ক্যাভাঞ্জিং বা মানুষকে দিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক বা ভূগর্ভস্থ নর্দমা পরিষ্কার করানো আইন করে নিষিদ্ধ হয়েছে ১৯৯৩ সালে। কিন্তু, তারপরেও সারাদেশে চলছে এই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড। প্রাণও হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।