পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলা নববর্ষ। আগে ‘পহেলা বৈশাখ’ মানেই রমরমিয়ে দেখা যেত ইলিশের কেনা-বেচা। ঘরে ঘরে পাত পড়ত পান্তা ভাত- ইলিশ। রূপোলি শস্যের কত রকম পদ! তবে এখন মূল্যবৃদ্ধির বাজারে হুহু করে কমেছে চাহিদা। আগে নববর্ষের প্রথম দিনের অনেক আগে থেকেই ইলিশ আনতেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি হতো দেদার। তবে এবছর তেমন ছবি নেই। কেন? কারণ, সেই চড়া দাম। কেন এত বেশি দাম? আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাছ ধরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কম জোগান। আবার রমজান মাসে পয়লা বৈশাখ পড়েছে। তাই তুলনামূলক ভাবে কমেছে চাহিদাও।
অতিমারির আগে দেখা যেত খুচরো ব্যবসায়ীরাও পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ইলিশ বিক্রি করতেন ব্যাপক পরিমাণে। বিক্রি হতো প্রায় একশো কেজিরও বেশি ইলিশ। এখন হচ্ছে দিনে বড় জোর ৩৫ কেজি। তাও পদ্মার ইলিশ কম। যা আছে তা ‘ফ্রিজিং’। বাজারে আছে চট্টগ্রাম ও মায়ানমারের ইলিশ। দেখা যাচ্ছে, ২-৩ বছর আগে কোনও ক্রেতা একাই প্রায় ৫টি ইলিশ কিনেছেন। এখন বড়জোর ক্রেতারা কেনেন, মাত্র একটা। বর্তমান দাম কেমন? জানা যাচ্ছে, ১ কেজি ইলিশের দাম ১হাজার ৩০০ থেকে ১হাজার ৬০০ টাকা। আর ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম ইলিশের দাম উঠেছে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। ৩০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা।