পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পুত্র আসাদের মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’র দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উমেশ পাল হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আতিক পুত্র আসাদের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে পুলিশের সঙ্গে আসাদ এবং তাঁর এক সঙ্গী গুলামের গুলির লড়াই চলে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয় দুজন। ইউপি পুলিশের দাবি এনকাউন্টারে মৃত্যু।
উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে পাঁচ বছরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারের সংখ্যা ৮,৪৭২টি। সেখানে জখমের সংখ্যা ৩৩০২, মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৬।
২০১৯ সালে এনকাউন্টার প্রসঙ্গে ষোলটি নির্দেশিকা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মধ্যে মুখ্য প্রধান তিনটি নির্দেশ হল, এনকাউন্টার হত্যা হলে, তার রেকর্ড ওই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যদি পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এনকাউন্টার করে থাকে, তাহলে তার একটি এফআইআর নথিভুক্ত করতে হবে এবং অবিলম্বে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৫৭-এর অধীনে সেই কপি আদালতে জমা দিতে হবে। তৃতীয়ত, যে থানার অফিসাররা এনকাউন্টার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকবেন, সেই থানার পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত করতে পারবে না। সিআইডি বা অন্য কোনও থানার পুলিশ স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে।
সর্বোপরি, সুপ্রিম কোর্ট এনকাউন্টার হত্যার তদন্তের জন্য একটি সঠিক পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, যাতে দেশে ন্যায়বিচার বজায় থাকে।
আসাদ প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, শৈশব থেকেই বাড়িতে অপরাধ মহলেই বড় হয়ে ওঠা আতিক পুত্রের। তাই মিশনারি স্কুল থেকে পড়াশোনা করে ক্লাসের ‘টপার’ হয়েও পরিবারে অপরাধের ইতিহাসের কারণে বিদেশ যাওয়ার পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়।
১২ বছরেই হাতে বন্দুক তুলে নিয়েছিল আসাদ। ধীরে ধীরে শার্পশুটার হয়ে ওঠেন। গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের পাঁচ পুত্রের মধ্যে তৃতীয় সন্তান আসাদ। তাঁর দুই দাদা উমর ও আলি জেল খাটছেন। ছোট দুই ভাইও সংশোধনাগারে বন্দি। উমেশ পাল হত্যার ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসাদ এবং গুলাম।
২০০৪ সালে আতিক যখন সাংসদ হন, তাঁর গ্যাংয়ের লোকেরা আসাদকে ‘ছোটে সাংসদজী’ বলে ডাকতেন।
আতিকের জেলে যাওয়ার পর থেকে আসাদ পরিবারের ব্যবসা সামলালেও বড় সিদ্ধান্ত নিতেন আতিকের স্ত্রী শায়িস্তা পরভিনই। উমেশ পালের হত্যার ঘটনায় পলাতক শায়িস্তাও।