পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রীই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ, এমনই রিপোর্ট দিল এডিআর (অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস)। সম্প্রতি রাজ্যের ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর উপরে গবেষণা চালিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এডিআর। গবেষনায় দেখা গেছে, ৩৭ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী স্নাতক ও ৩০ শতাংশ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।
প্রসঙ্গত, একটা সময় আম আদমি পার্টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেখানে এবার এডিআর-এর নয়া রিপোর্ট বলছে, ৩৭ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী স্নাতক ও ৩০ শতাংশ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ। স্বাধীন নিবার্চনী নজরদারির ভিত্তিতে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৩৭ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী স্নাতক, ৩০ শতাংশ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ, ১৪ শতাংশ পেশাদার স্নাতক, ৩ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী দশম শ্রেণী পাস, ডক্টরেট ও ডিপ্লোমাধারী। নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে ১০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী দ্বাদশ শ্রেণী পাস।
বুধবার প্রকাশিত এডিআর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ৪৩ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাদে সকলেরই সম্পদ ছিল ১ কোটি টাকার বেশি। সর্বশেষ নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে মমতার সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫.৩৮ লক্ষ টাকা।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখতে চেয়ে আদালতের কাছে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তবে বিষয়টি নিয়ে দমে যাননি আপ প্রধান ও তার দল আম আদমি পার্টি (আপ)। সব বিজেপি নেতাদের ‘ডিগ্রি দেখাও’ কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে নামে আপ। সেই সময় আদালতের রায় প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল এক ট্যুইটে বলেছিলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী কতটা শিক্ষিত তা জানারও কি অধিকার নেই? তারা আদালতে তার ডিগ্রি দেখানোর বিরোধিতা করেছিল। কেন? তার ডিগ্রি দেখার দাবিদারদের জরিমানা হবে? কি হচ্ছে? একজন নিরক্ষর বা কম শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক।’
বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কেজরির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, ‘হতাশা থেকে আপ প্রধান এই ধরনের মন্ত্রব্য করেছেন। আসলে তার সরকারের মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং মদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন’।