পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : রাম নবমীর মিছিল যাওয়ার রাস্তায় ‘মাংসের টুকরো’ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে! রবিবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জামশেদপুরের পূর্ব সিংভূম জেলা। ঘটনায় হিন্দু-মুসলিম একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের জয় শ্রীরাম স্লোগান সহ একে অপরের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়াকে কেন্দ্রকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। উত্তেজনা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। বেশ কয়েকটি দোকান, যানবাহন সহ একটি অটো-রিকশাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় প্রায় ৬ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জামশেদপুরের পূর্ব সিংভূমের বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক বিজয় শঙ্কর বলেন, ভুয়ো খবরকে কেন্দ্র করে এক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ ছিল, বিদ্যুতের খুঁটির মাঝখানে দড়িতে করে মুরগি বা গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের কাছেই ছিল একটি মাংসের দোকান। মাংসের ছাটগুলি কুকুরের ভয়ে রাস্তায় না ফেলে মানুষের সুবিধার জন্য নিরাপদ দূরত্বে রাখার জন্য একটু উঁচুতে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে একটি তারে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
ডিআইজি (কোলহান) অজয় লিন্ডা এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, মাংসের টুকরো এই প্রশ্ন উঠল কিভাবে? যেটা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল সেটা মাংসের ছাট, গরু বা মুরগি কিছুরই মাংস নয়।
কুকুরের হাত থেকে পরিত্রাণের জন্য সেই ছাটগুলিকে একটু উপরের দিকের একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তারে বেধে প্যাকেটে করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। একটি ধর্মীয় ফ্ল্যাগ সেখানে বাধা ছিল। কিছু মানুষ ভুয়ো খবর ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরি করেছে। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত এই মামলায় ৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় মুসলিম সংগঠনগুলি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কাছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে মূল অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।