পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে গোটা দেশের অর্থনীতি ধুঁকে পড়েছিল। সেই আর্থিক অবস্থাকে চাঙ্গা করতে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘোষণা করেছিলেন ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ। সেই প্রকল্পেই হকারদের ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর নিধি প্রকল্প’। এই প্রকল্পের অধীনে হকার ঋণ পাবেন।
২০২০ সালের জুন মাসে আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক দ্বারা চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। প্রথম কিস্তিতে লোন দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। যারা সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে পারবে, তারা দ্বিতীয় কিস্তিতে ২০ হাজার ও তৃতীয় কিস্তিতে তারা ৫০ হাজার টাকা লোন পাবে।
এবার সেই প্রকল্পে ঋণ পাওয়া নিয়ে সংসদে কেন্দ্র সরকার বিবৃতি এক প্রকাশ করা হল। সেই বিবৃতি অনুযায়ী, এই প্রকল্পে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ কমেছে।
সিপিএমের রাজ্যসভার সদস্য জন ব্রিটাসের এক প্রশ্নের উত্তরে আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেছেন যে, এই বছরের ২৩ মার্চ পর্যন্ত এই প্রকল্পটিতে ৩৪.৪৭ লক্ষ হকারদের মধ্যে ৪২.৭ লক্ষ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ৫,১৫২.৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩.৯৮ লক্ষ (৯.৩ শতাংশ) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিক্রেতাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে ১০.২৩ শতাংশ, ২০২১-২২ সালে ৯.২৫ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৭.৭৬ শতাংশে কমেছে সংখ্যালঘু হকারদের সংখ্যা কমেছে।
সিপিআই সদস্য পি সন্দোশ কুমার সংসদে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘দেশের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী সব সময় দরিদ্রদের উপকার করার জন্য বড় বড় দাবি করে থাকেন, কিন্তু তারা সংসদে যে তথ্য পেশ করে তা এই সমস্ত দাবির বাস্তবতা প্রকাশ পায় না। পি সন্দোশ কুমার আরও বলেন, কেন্দ্রে বিজেপির ৯ বছরের শাসন সহ এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, কিন্তু তারপরেও দরিদ্রদের জন্য নীতি-নির্ধারণ সংখ্যা কোনও অনুমান ছাড়াই চলছে।’