পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে মেদিনীপুরের খেঁজুরির ঠাকুরনগরে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে রামনবমীর ঘটনায় হিংসা ছড়ানো থেকে শুরু করে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এদিন বলেন, রামনবমীর মিছিল পাঁচদিন কেন? বন্দুক, বোমা নিয়ে মিছিল কেন? ৬ তারিখে হনুমান জয়ন্তী আছে,আমরা বজরংবলীকে শ্রদ্ধা করি। সেদিন যেন কোনও হিংসা ছড়ানো না হয় বলে, কড়া সতর্কবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, আমি হিন্দু ভাই বোনেদের বলছি, আপনারা দেখবেন, এদিন যেন কোনও দাঙ্গার ঘটনা না ঘটে। ওরা মাইনোরিটি, ওরা যেন সঠিক বিচার পায়।
এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, এত রাস্তা থাকতেও মাইনোরিটি রাস্তায় ঢুকছে। ফলের ট্রাকগুলিতে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই সময় ওরা রোজা করে থাকেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। কন্যাশ্রী, রাস্তাশ্রী সহ একাধিক প্রকল্প করেছি আমরা। রাজ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে একাধিক সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সাইকেল থেকে শুরু করে ট্যাব সমস্ত কিছু দেওয়া হচ্ছে। আমি চাই, এখানকার ছেলে-মেয়েরা আরও ভালো করে পড়াশোনা করুক।
মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বলেন, আজ এখানে ৬১২ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করে দেওয়া হয়েছে। এখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। জগন্নাথ মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখা সহ আরও বহু কাজ রয়েছে। সব কাজ খতিয়ে দেখব। ৬ তারিখ আমি ফিরে যাব।
আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গরিবদের ভাতে মারছে কেন্দ্র সরকার। ১০০ দিনের কাজে টাকা তুলে নিয়ে আর গরিবদের টাকা দিচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজে ১৭ লক্ষ টাকা দেয়নি। গরিব মানুষের টাকা মেরে দিচ্ছে এরা। জিএসটির সব টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ১২ কিমি রাস্তা করেছি আমরা। এটা রাজ্যের টাকা, এই টাকা কোনও গদ্দারের টাকা নয়। মমতা বলেন, এখানে সেন্ট্রাল টিমকে পাঠাচ্ছে আর এখানে থেকে ভালো হোটেলে খেয়ে দেয়ে চলে যাচ্ছে।