পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেরলে চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল। এক সহযাত্রী অপর যাত্রীদের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় নয়জনযাত্রী আহত হয়েছেন। বাকি তিনজনের দেহ ট্রেনলাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে এক শিশু ও এক মহিলা রয়েছেন। পুলিশের অনুমান ওই তিনজন আগুনের হাত থেকে বাঁচতে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। কেন কি কারণে এই ঘটনা সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জঙ্গিযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
রবিবার রাতে কেরলের কোঝিকোড়ের এই হাড়হিম করা ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাত ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ আলাপ্পুঝা কন্নৌড় এক্সিকিউটিভ এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোঝিকোড় সিটি পেরিয়ে কোড়াপুঝা রেল ব্রিজের উপরে পৌঁছয়৷ তখনই ট্রেনের ডি১ কামরার ভিতরে বচসাকে কেন্দ্র করে এক যাত্রীর গায়ে দাহ্য কোনও তরল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন এক সহযাত্রী৷ হঠাৎ করে এই ঘটনায় সকলেই হতচকিত হয়ে পড়েন। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় অন্তত আটজন যাত্রী আহত হন৷ ট্রেন থামাতে চেন টানেন এক যাত্রী৷ আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রেল লাইনের পাশ থেকে একটি ব্যাগের মধ্যে আরও এক বোতল পেট্রোল এবং দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, ট্রেনটি কোরাপুঝা নদীর উপরে দাঁড়ানোর পরই মধ্য তিরিশের এক যুবক হঠাৎ করে ট্রেন থেকে নেমে যায়। রেল লাইনের ধারে তার জন্য একটি বাইক অপেক্ষা করছিল। সেটি করেই পালিয়ে যায় ওই যুবক। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই হামলাকারী যুবককে চিহ্নিত করেছে পুলিশ৷ গোটা ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত হামলা বলই পুলিশের অনুমান৷
ট্রেনটি কন্নৌড়ে পৌঁছনোর পর এক শিশু ও মহিলার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এক আহত ব্যক্তি তাদের খোঁজ করছিলেন। কামরার ভিতর থেকে ওই মহিলার জুতো এবং মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়৷এই ঘটনার সূত্র ধরেই নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ৷ সেই তল্লাশিতেই রেল লাইনের ধার থেকে ওই তিনটি দেহ উদ্ধার হয়৷ এক বছরের একটি শিশু, এক মহিলা ছাড়াও একজন পুরুষের দেহ উদ্ধার হয়৷
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ওই মহিলা এবং শিশু ট্রেনের যাত্রী হলেও তাঁদের সঙ্গে যে পুরুষের দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনায় মোট ৯জন কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।