পারিজাত মোল্লা: গত ২৪ ঘন্টায় ৩ টি সরকারি হাসপাতাল ঘুরে ‘অসুস্থ’ জিতেন্দ্র তেওয়ারি বড়ই অসহায়, তবে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে অনেকখানি ‘অক্সিজেন’ পেলেন তিনি।
এদিন কয়লা মামলায় রাজ্যের তদন্ত থেকে হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির। কয়লা মামলায় সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের দেওয়া জিজ্ঞাসাবাদে করার অনুমতির উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।কেন তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? তা রাজ্যকে হলফনামা আকারে আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে একটি এফআইআর হয়েছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে। পরে সেই মামলা রাজ্য পুলিশের সিআইডি নতুন করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চায়। তবে সেই মামলায় সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট।উল্লেখ্য, জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবীর দাবি, গোটা কয়লাকাণ্ডের তদন্তে বর্তমানে চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি। সেক্ষেত্রে কেন আবার সিআইডি তদন্ত? । একটি মামলার ক্ষেত্রে দুটি তদন্তকারী সংস্থা কীভাবে তদন্ত করবে?’ পাশাপাশি জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যখন বিচারাধীন রয়েছে, তখন সেই বিষয়টি গোপন রেখে নিম্ন আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে বলে দাবি জিতেন্দ্রর আইনজীবী।
এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান, ‘আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের আওতায়। কিন্তু একই ঘটনায় দু’টি তদন্তকারী সংস্থা? আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। এটা কীভাবে সম্ভব? অন্যদিকে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানতে চান, -‘রাজ্য কি তদন্ত করতে পারবে না? কত মামলা সিবিআই নিষ্পত্তি করতে পেরেছে? চার্জশিটের পর চার্জশিট। সিবিআই তদন্ত করবে আর তারা স্বাধীনভাবে ঘুরবে! এটা হতে পারে না।’
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার কয়লা মামলায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের দেওয়া জিজ্ঞাসাবাদে করার অনুমতির উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এতে অনেকটা স্বস্তি পেলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি।